বিমানবন্দর থেকে গুলশান, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি রাখেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন পর্যন্ত নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিলো সেনাবাহিনী পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন হাজার সদস্য।
দলের পক্ষ থেকে যানজটের ভোগান্তি এড়াতে ছিলো কড়া নির্দেশনা। তবে শেষ পর্যন্ত নেতা কর্মীদের বাঁধা ভাঙা ঢল আর নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি। দলের নেতা কর্মীরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার জন্য মানুষের যে ভালোবাসা এই উচ্ছ্বাস সেই প্রমাণই দিয়েছে।
চারমাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। সাথে দুই পুত্রবধূ। একদিকে নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভিড় ও নিরাপত্তা। অপরদিকে কর্মব্যস্ত দিনে যানজটের সাথে সময়মতো এসএসসি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত।
সব মিলে গুরুত্বপূর্ণ দিনটির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটা ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সেনা নৌ বিমান বাহিনী পুলিশ র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিন হাজার সদস্য নিয়োজিত ছিলো বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায়। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত প্রতিটি পয়েন্টে ছিলো সেনা ও পুলিশের সরব উপস্থিতি।
পুরো পথে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর ঘিরে ছিলো সেনাবাহিনী পুলিশসহ তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী। দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, দলীয় প্রধানের নিরাপত্তা আয়োজনে তারা সন্তুষ্ট । যানজট পরিস্থিতি সামাল দিতে ভোর থেকেই পুলিশের পাশাপাশি ছিলো সেনা সদস্যদের তৎপরতা।
নেতাকর্মীদের ভিড় আর যানজট সামলাতে পুলিশকে নিতে হয় বাড়তি ব্যবস্থা। ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে দিনের প্রথম ভাগে এক্সপ্রেসওয়েতে মটর সাইকেল ও সিএনজি চলাচলের অনুমতি দেয় মেট্রোপলিটন পুলিশ। নানা ব্যবস্থার পরও বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর রওনা হলে ঘিরে ধরে নেতাকর্মীরা। এতে পুরো সড়কের বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। তৈরি হয় তীব্র যানজট।
বিমান বন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পথটি পাড়ি দিয়ে গুলশানের বাসভবনে পৌঁছতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের সময় লাগে দুই ঘণ্টা।