কো সামোই। ফুকেট আইল্যান্ডের পর থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় দ্বীপ। নিজের প্রাইভেট ভিলায় বন্ধুদের সাথে ছুটি কাটাচ্ছিলেন স্পিনের কিংবদন্তী শেন ওয়ার্ন। কে জানতো ক্রিকেট দুনিয়ার সবেচেয়ে বড় দুঃসংবাদগুলোর একটা আসবে ওখান থেকেই।
ক্রিকেট খেলেছেন টানা ১৫ বছর। অবসর নেয়ার বেশ আগে থেকেই নিজেকে নিয়ে গেছেন কিংবন্দন্তির কাতারে। লেগস্পিন ব্যাপারটাকেই রীতিমতো করে তুলেছিলেন ফ্যাশনেবল। তাই তো শেন ওয়ার্ন যুগের আগের আর পরের ক্রিকেটের মধ্যে ফারাক অনেকটা।
খেলা ছেড়েছিলেন ওয়ার্ন, তবে ক্রিকেটকে ছাড়েননি। ওয়ার্ল্ডকাপ থেকে বিগব্যাশ সব খানেই ভাষ্যকার কিংবা ক্রিকেট অ্যানালিস্ট হিসেবে ছিল অবাধ বিচরণ।
বিশ্বের এক থেকে আরেক প্রান্তে নিয়ত ছুটে চলার ফাঁকে পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের আর কতোটাই বা সময় দিতে পারতেন।
এর মধ্যেও অবশ্য একটা ফাঁক এবারে বের করেছিলেন ওয়ার্ন। তিন বন্ধুর সাথে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের সেই কো সামুইতে। প্রাইভেট ভিলায় সব চলছিল ঠিকঠাক।
কিন্তু শুক্রবার তাকে ডিনারের জন্য ডেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর শেন ওয়ার্নকে অচেতন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট সন্দেহে ওয়ার্নকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করেন তার বন্ধুরা। প্রায় মিনিট বিশেকের চেষ্টার পরেও কোনো সাড়া না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়।
ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম এসে কিছুক্ষণ চেষ্টার পর তাকে নিয়ে যায় থাই ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালে। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ক্রিকেট দুনিয়ার এই মহাতারকা।
আরও পড়ুন: ভালো শুরু করেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলো বাংলাদেশ
মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যায়নি, তবে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাই সবচেয়ে জোরালো। আসলে কী হয়েছিল তাতে অবশ্য এখন আর খুব বেশি কিছু যায় আসে না, ওয়ার্ন তো আর ফিরবেন না।
৫২ বছর বয়সী সাবেক এই অজি ক্রিকেটার মোটামুটি সুস্থ জীবনই যাপন করছিলেন। তার এই হঠাৎ চলে যাওয়ার শোক তাই ক্রিকেট যেকোনো অনুরাগীর জন্যই মেনে নেয়া শক্ত।
একাত্তর/আরএ