কুশল মেন্ডিসের ইনিংসটা বাদ দিলে বাকি ব্যাটারদের সেভাবে দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশ। শেষ পাঁচ ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে মোটে ৩৯ রান দিয়েছে টাইগাররা। ফলে সাত উইকেটে ১৭৪ রানেই আটকে রাখা গেছে লঙ্কানদের। অর্থাৎ সিরিজ জিততে বাংলাদেশের দরকার ১৭৫।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টসভাগ্য সহায় ছিলো বাংলাদেশের। আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও তিনি প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেন।
বাংলাদেশ শুরু করে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। দলীয় ১৮ রানের মাথায় ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। ১২ বলে ১২ করে কামিন্দু মেন্ডিস হন রিশাদ হোসেনের শিকার।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা কিংবা চারিথ আসালাঙ্কার মতো ব্যাটারদেরও মারমুখী হতে দেয়নি টাইগাররা। তবে একাই বলতে গেলে লড়াই চালিয়ে যান কুশল মেন্ডিস।
৫৫ বলে ছয়টি করে চার-ছক্কায় ৬৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন কুশল। শেষ পর্যন্ত তাকে থামান তাসকিন। তবে ততক্ষণে ১৭তম ওভারে লঙ্কানদের সংগ্রহ ১৪০ হয়ে গেছে।
শেষদিকে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সাত বলে ১০ আর দাসুন শানাকার ৯ বলে ১৯ রানে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় শ্রীলঙ্কা।
তাসকিন চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। রিশাদের দুই উইকেট শিকার ৩৫ রানে। শরিফুল চার ওভারে ২৮ রান খরচায় একটি উইকেট পান। মোস্তাফিজুর রহমানও একটি উইকেট নেন। তবে তিনিই ছিলেন দলের সবচেয়ে খরুচে বোলার, চার ওভারে দেন ৪৭।