বাংলাদেশে অর্থ কেলেঙ্কারির হোতা প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার এবং তার অন্য সহযোগীদের আরও ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া এক নারীকে ১০ দিনের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত পিকে হালদারকে মঙ্গলবার মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন আদালতে হাজির করে ইডি।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীতে আদালতে হাজির করার পর ইডি তাদের ১৪ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে।
আদালতে পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের ১৪ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
আদালতে ইডি জানায়, সংস্থাটি গত সপ্তাহে যেসব এলাকায় অভিযান চালিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাকে সেই এলাকাগুলোতে নিয়ে যাওয়া দরকার।
অপরদিকে তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া এক নারীকে ১০ দিনের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে নেয়ার আগে পি কে হালদারের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
ইডি জানিয়েছে, অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অর্থপাচারের সঙ্গে কোনও রাজনীতিক জড়িত আছেন কি-না, সে বিষয়ে পি কে হালদার এখন পর্যন্ত কোনও তথ্য দেননি।
পি কে হালদারের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে ইডি। এসব নথিতে প্রাথমিকভাবে ভারতে তার ২০ থেকে ২৫টির মতো বাড়ির মালিকানার তথ্য মিলেছে।
এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, বাংলাদেশি নাগরিক প্রশান্ত কুমার হালদার, প্রীতিশ কুমার হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার এবং তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রশান্ত কুমার হালদার নিজেকে শিব শঙ্কর হালদার নামে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
বাংলাদেশি এই অর্থপাচারকারী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে ভারতীয় রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান এবং আধার কার্ডও সংগ্রহ করেছিলেন। প্রশান্ত কুমার হালদারের অন্য সহযোগীরাও ভারতীয় এসব কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে সংগ্রহ করেন।
বাংলাদেশি এই নাগরিকরা প্রতারণার মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসায়িক কোম্পানি চালু করেন। কোম্পানি পরিচালনার পাশাপাশি কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পত্তি কিনেছেন তারা।
আরও পড়ুন: পিকে ও সহযোগীদের আরো ১৪ দিন রিমান্ডে চায় ইডি
গেলো শনিবার পি কে হালদারের সম্পত্তির খোঁজে দ্বিতীয় দিনের মতো পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালানো হয়। সেদিন দুপুরের দিকে প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে আদালত সেই সময় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
একাত্তর/এসি