গান, কথা, মঙ্গলশোভাযাত্রা আর আবহমান বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতিকে ধারণ করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বর্ণাঢ্য বৈশাখ বরণ উৎসব হতে যাচ্ছে আগামী ২৯ এপ্রিল, শনিবার। সকাল ৮টায় সম্মিলিত সঙ্গীতে প্রভাতী আয়োজনের মধ্যদিয়ে উৎসব শুরু হবে। জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে দিনভর নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে যা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। সম্মিলিত বৈশাখ বরণ উদযাপন পরিষদ নিউইয়র্কের আয়োজনে আমেরিকার বিভিন্ন স্টেট থেকে শিল্পী ও সুধীজনেরা যোগ দিচ্ছেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় মঙ্গল শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন কণ্ঠযোদ্ধা ও একুশে পদক বিজয়ী সঙ্গীত শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এছাড়া বিশিষ্টজনদের মধ্যে থাকবেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক মতলুব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদক বিজয়ী লেখক ড. নুরুন নবী, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও সংগঠক সেলিমা আশরাফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী তাজুল ইমাম, বাংলা একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী বিশিষ্ট ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো: আহকাম উল্লাহ, সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, সাপ্তাহিক বাঙালির সম্পাদক কৌশিক আহমেদ এবং বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী কাবেরী দাশ।
এবারের বৈশাখ বরণ উৎসব ১৪৩০ উপলক্ষ্যে আরও থাকছে শিশু কিশোর অংশগ্রহণে চিত্রাংকন ও যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা, মুক্তমঞ্চের পরিবেশনা, শিল্পী তাজুল ইমামের কথা, সুর ও পরিচালনায় ‘উৎসব সঙ্গীত’, বৈশাখের তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, শিল্পাঙ্গণ পরিবেশিত নাটক ‘সোনার ছেলে’, শুদ্ধস্বর এর পরিবেশনা ‘আনন্দ ভৈরবী’, বাফার পরিবেশনায় ‘ফিরে ফিরে বাংলা’, ‘প্রজন্মের আলো’-পরিবেশনায়: রুপাই, মাইশা, আলভান, একক গান ‘সুরসুধা’-পরিবেশনায় বিজয়া সেন গুপ্ত, বিপার পরিবেশনায় ‘রুদ্র বৈশাখ’, পঞ্চকবির গান ‘ধ্রুবতারা’, সেজান মাহমুদ ও তৃষ্ণা মাহমুদের যুগলবন্দী, যন্ত্রসঙ্গীতে লালন ‘The inner call’-পরিবেশনায় দ্য বিরসা চ্যাটার্জী কোয়ার্টেট, শিল্পী তাজুল ইমাম ও দুলাল ভৌমিকের যৌথ পরিবেশনা ‘বাউল বাতাস’ এবং শিল্পী মহীতোষ তালুকদার তাপসের পরিচালনায় দলীয় পরিবেশনা ‘বাংলা অনুভবে’। আর দিনব্যাপী থাকছে বৈশাখী মেলা।
উৎসবের আহবায়ক প্রতাপ দাস বলেছেন, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনবদ্য একটি অনুষ্ঠানের পরিকল্পণা আমরা করেছি। প্রবাসে বেড়ে ওঠা আগামী প্রজন্মের মধ্যে দেশের সংস্কৃতির ধারা ছড়িয়ে দেয়া আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা গোটা পৃথিবী হিংসা ও হানাহানি মুক্ত হবে। অসাম্প্রদায়িক পৃথিবী বিনির্মাণে বৈশাখের মর্মকথা আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই জগতজুড়ে।
একাত্তর/আরবিএস