যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে নিজের বাড়িতে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিওর মৃত্যুর এক মাস পর প্রথমবারের মত দুঃখ প্রকাশ করলেন নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস। সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, উইনের পরিবারের সাথে দেখা করেছেন তিনি। আর এই খবর প্রচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মেয়রের দাবি অস্বীকার করেছে উইনের পরিবার।
নতুন করে আলোচনায় এলো যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিও। কারণ নিউইয়র্ক শহরের মেয়র এবং উইনের পরিবারের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এসেছে সামনে।
নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ব্যক্তিগতভাবে তিনি উইনের পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন কিন্তু তারা কথা বলতে আস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এরিক বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ছেলেটির বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখন তারা কথা বলতে চাননি। আমি একে অবশ্যই সম্মান করি। আমি বুঝি এমন একটি ঘটনা কতটা কষ্টের আর কতটা মর্মান্তিক।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হলো না, এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টা এক সহজ নয়। ঘটনার তদন্ত চলছে। এটা অ্যাটর্নি জেনারেলের সিদ্ধান্ত। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ হবে।
এদিকে মেয়রের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একে মিথ্যা বলে নাকচ করে দিয়েছে উইনের পরিবার।
তাদের দাবি, মেয়র কখনই তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেননি। তবে কথা বলতে এলেও তারা মেয়রের সাথে কথা বলতেন না বলে জানিয়েছেন উইনের মা।
তিনি বলেন, মেয়রের কাছ থেকে কোনো সহানুভূতি তারা চান না। তারা কেবল চান, ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের শাস্তি।
সম্প্রতি রোজারিও পরিবারের পক্ষে তাদের আইনজীবী মেয়রকে আহবান জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে যেন বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও রাজ্যের পুলিশের এমন বর্বরতার বিরুদ্ধে মেয়রের তেমন ক্ষোভ দেখা যায়নি বলেও সমালোচনা করেন তারা।
উইনের মৃত্যুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্যই করেননি মেয়র এরিক অ্যাডামস। তবে গত সপ্তাহে সিটি হলে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তার সমালোচনার পর এই প্রথম এ বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি।
গেলো ২৭ মার্চ নিউইয়র্কের ওজনপার্ক এলাকায় বাসার ভেতরে পুলিশের উপর্যুপরি গুলিতে বাবা-মায়ের সামনেই নিহত হয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোর উইন রোজারিও (১৯)। ঘটনাটি নিউইয়র্কে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।