বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গণের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, সঙ্গীতজ্ঞ ও ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি সন্জীদা খাতুন (৯২) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন পুত্রবধূ ও ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা।
এদিকে সন্জীদা খাতুনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি বার্তা প্রকাশ করা হয়েছে ছায়ানটের ফেসবুক পেজ থেকে।
ওই শোকবার্তায় বলা হয়েছে- সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী, গবেষক, শিক্ষাবিদ ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন-এর প্রয়াণে ছায়ানট গভীর শোক জ্ঞাপন করছে।
ছায়ানটের একটি সূত্র জানায়, আগামীকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সন্জীদা খাতুনের মরদেহ নেওয়া হবে ছায়ানটে। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর এদিনই তার মরদেহ দাফন করা হবে।
সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের চার এপ্রিল। বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী।
সন্জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই তার কর্মজীবন শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল পড়িয়েছেন তিনি।
ছাত্রজীবন থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি আবৃত্তি, অভিনয় ও গানের সঙ্গে যুক্ত হন সন্জীদা খাতুন। পাশাপাশি যুক্ত হন সাংগঠনিক কাজেও। শিল্পী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ব্রতচারী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার গানের গুরু ছিলেন সোহরাব হোসেন। তার কাছেই নজরুলসংগীত, আধুনিক বাংলা গান ও পল্লীগীতি শিখেছিলেন সন্জীদা খাতুন। পরে রবীন্দ্রসংগীত শিখেছেন হুসনে বানু খানমের কাছে। পরে শৈলজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেনসহ কয়েকজন গুরুর কাছে গান শিখেছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই সন্জীদা খাতুন সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।