কুয়াকাটায় রাখাইন পল্লীতে ১১১ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মন্দিরের জায়গা দখল করেছে ভূমি দস্যু চক্র। এই দখলে দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন পর্যটকরা।
আর, হয়রানিতে পড়ছে রাখাইন নারীরা। জায়গা দখলমুক্ত করতে মন্দির কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে।
অন্যদিকে উল্টো মামলা করেছে দখলদাররা। সেই সঙ্গে স্থানীয়দের দেখে নেয়ারও হুমকি দিচ্ছে। এতে নিজেদেরকে নিরাপদ ভাবতে পারছেন না সেখানকার বাসিন্দারা।
কুয়াকাটা সৈকত থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাখাইন সম্প্রদায়ের একটি গ্রামের নাম মিশ্রিপাড়া। সেখানে রয়েছে একটি বড় বৌদ্ধ মন্দির।
ধারণা করা হয় সেই মন্দিরে রাখা বৌদ্ধ মূর্তিটি আকারে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড়। আছে সেই ইয়াঙ্গুন থেকে আনা বিশালাকৃতির প্রাচীন ঘণ্টা।
এছাড়া এই মন্দিরের কাছে আমখোলা গ্রামে রয়েছে রাখাইনদের সবচেয়ে গ্রাম। যেখানে এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনধারার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
১৯১১ সালে প্রায় দুই একর জমির ওপর তৈরি হয় দৃষ্টিনন্দন সেই মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ মন্দির। জার্মান সরকারের সহায়তায় ২০১৪ সালে তারকাটায় ঘিরে দেয়া হয় মন্দির প্রাঙ্গণ।
গুরুত্বপূর্ণ এই মন্দির প্রাঙ্গণ ভাড়ার নাম করে দুই বছর ধরে দখল করে রেখেছে সেলিম মাওলানার দল। বারবার উঠে যাওয়ার কথাও বললে দিচ্ছে হুমকি।
দখলদারদের কারণে দুর্ভোগে পড়ছেন সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। সেই সঙ্গে হয়রানির শিকার হচ্ছেন রাখাইন নারীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, রাখাইনদের দখল হয়ে যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে প্রশাসনের দ্রুত সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ৭৭ বছর পর আন্না ফ্রাঙ্ককে ধোঁকা দেওয়া সন্দেহভাজন শনাক্ত
আর, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, দখল অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়েছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেবেন তারা।
১৭৮৪ সালে পটুয়াখালীতে ১১২ পাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষরা থাকতেন। এখন কমতে কমতে রয়েছে মাত্র ৩১টি রাখাইন পল্লী।
একাত্তর/আরএ