জন্মস্থান গোপালগঞ্জেই সমাহিত হলেন আশি-নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ। মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোর্ট মসজিদে জানাজা শেষে মা আলেয়া ও বাবা হেমায়েত আহম্মেদের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার ভোররাতে গোপালগঞ্জের চৌরঙ্গী এলাকায় খালিদের পৈতৃক ভিটায় নিয়ে আসা হয় তার মরদেহ। সেখানে হাজারো ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী শেষবারের মত দেখতে আসেন এই সুরের যাদুকরের মরদেহ। অশ্রুশিক্ত হয় হাজারো মানুষ। জোহরের নামাজের পর কোর্ট মসজিদে জানাজা শেষে চিরবিদায় জানানো হয় তাকে। পরে গোপালগঞ্জের পুরাতন কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে যান খালিদ। তার মৃত্যুর খবরে সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
খালিদ গান গাওয়া শুরু করেন গত শতকের আটের দশকের শুরুতে। পুরোপুরিভাবে যাত্রা শুরু হয় ৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডের সঙ্গে। তাকে বলা হতো নব্বইয়ের দশক বা তারপর পর্যন্ত মিক্স মাস্টার।
দীর্ঘ সময়ের মিউজিক ক্যারিয়ারে খুব বেশি গান করেননি এই শিল্পী। অন্য শিল্পীদের তুলনায় কম গান করলেও খালিদের গাওয়া প্রতিটি গানই পেয়েছে জনপ্রিয়তা।
‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’—এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দেন তিনি।
অনেকদিন ধরেই আড়ালে ছিলেন এই গায়ক। তার পরিবার বর্তমানে নিউইয়র্কে বসবাস করছে। মাঝেমধ্যে খালিদ দেশে আসতেন। এ যাত্রায় এসে আর পরিবারের কাছে ফেরা হলো না তার।