চলছিলো শোকসভার প্রস্তুতি। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত-বার্ষিকী। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। ব্যতিক্রম নয় মুন্সীগঞ্জও। কিন্তু এই প্রস্তুতিস্থলেই ডিজে গান ছেড়ে নাচানাচি করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন একদল যুবক। তারা স্থানীয় মিরকাদিম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল মিয়ার অনুসারী বলে অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় কাগজীপাড়া আরাবিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে উচ্চশব্দে গান বাজাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যা ক্যামেরাবন্দী করার সময় সাংবাদিক তোফায়েল আহামেদ মিয়াদকে হেনস্তা করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ছেলে জাহিদ ও সানজিলের নেতৃত্বে একদল যুবক। এরপর ভিডিওটিও ডিলেট করে দেয়া হয়।
এসময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল মিয়া। তিনি বলেন, ‘ছেলেরা তো নাচবেই, তাই বলেই কী ভিডিও করতে হবে?’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, এ ঘটনা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। শোক দিবসকে কলুষিত করতে এই আয়োজন করা হয়েছিলো। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকের সাথে করা আচরণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ।
মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব লুৎফর রহমান বলেন, জাতীয় শোক দিবসে শোক পালন না করে বিপরীতধর্মী আয়োজনের খবর আমাদের চরমভাবে আহত করেছে। বিষয়টির খোঁজ নিয়ে যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেছেন, ঘটনাটি সম্পর্কে লোকমুখে জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একাত্তর/আরএ