চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিজের মেয়েকে (১৫) ধর্ষণের দায়ে বাবাকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত বাবা রায় ঘোষণার সময় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। রায়ের পর পুলিশি পাহারায় প্রিজন ভ্যানে আদালত থেকে তাকে কারাগারে নেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পিপি) এম এম শাহজাহান মুকুল বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় বাবার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ হয়েছে। জরিমানার আদেশ তার (দণ্ডিত ব্যক্তির) জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পরবর্তী পর্যায়ে প্রথম দায়দেনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। মাননীয় আদালত এটা রায়ে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, সাক্ষী গ্রহণ শুরু থেকে মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান করতে সক্ষম হয়েছি। সমাজে এ ধরনের ঘৃণিত অপরাধ আর যেন না হয় এটা আমরা আশা করছি।
২০২৪ সালের ৭ মার্চ ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে ভুক্তভোগী কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থানকালে পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব অনুভূত হলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ২/৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়।
পরে ভুক্তভোগী জানান, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বোনের বাড়িতে গেলে ওইদিন রাতে বাবা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে এবং পরবর্তীতে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ২/৩ মাসে ৭/৮ বার ধর্ষণ করেছে।