রাঙ্গুনিয়ায় বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছে চুয়েট শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে নানা কর্মসূচী পালনে কাপ্তাই এর সাথে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। তবে এম্বুলেন্স ও বিদেশগামীদের যানবাহনগুলো যেতে দিচ্ছেন অবরোধকারীরা।
এর আগে, সোমবার রাতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে একটি বাসে আগুন দেয়। ঘটনার পরপরই চুয়েট ক্যাম্পাস ও আশপাশের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সেসময় শাহ আমানত লাইনের চারটি বাসও আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
দুই শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় সোমবার রাতেই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচী ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বাসের চাপায় নিহত হন মোটর সাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন।
নিহত শিক্ষার্থী শান্ত সাহা নরসিংদী সদরের চার নম্বর ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে। আর নিহত তৌফিক নোয়াখালীর সুধারামের নিউ কলেজ রোড দুই নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
এ দুর্ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।