জামালপুরে কলা চুরির অভিযোগ এনে একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে হাত-পা-মুখ বেঁধে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। নির্যাতনের ওই ভিডিও সোস্যালে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ দুই জনকে আটক করছে। তবে এখনও পলাতক মূলহোতা।
শনিবার রাতে জেলার ইসলামপুর উপজেলার পৌর শহরের মোশাররফগঞ্জ তেঘুরিয়ার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার তরুণের নাম শাওন (১৬)। সে ইসলামপুর পৌরসভার পলবান্দা উজানপাড়ার এলাকার নেদা মিয়ার ছেলে এবং স্থানীয় বেলগাছা উচ্চ বিদ্যালয় ও বিএম কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আটকরা হলেন- পৌরসভার মোশারফগঞ্জ তেঘুরিয়ার গ্রামের আজিম (২০) ও একই এলাকার ফজলুল রহমান (৫০)। তবে মূল অভিযুক্ত ছামিউল ইসলাম এখনও পলাতক।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে কলা চুরির অপবাদ দিয়ে শাওনকে বাড়িতে তুলে নিয়ে যায় মাছ ব্যবসায়ী ছামিউল ইসলাম। বাড়িতে নিয়ে হাত-পা ও চোখ বেঁধে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে করা হয়।
এদিকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠে। জড়িত সবার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভোক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন তালুকদার জানান, ভিডিওটি পুলিশের নজরে আসা মাত্র জড়িত দুই জনকে আটক করা হয়েছে। অমানবিক এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।