জামালপুরে এক সঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি। তবে নবজাতকগুলোর মধ্যে তিনটিকে বাঁচানো যায়নি। অপর শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার সকালে জেলার ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে শিশুগুলোর জন্ম দেন খুশি বেগম নামে এক নারী।
তিনি উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.এ এ এম আবু তাহের জানান, ওই নারী তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তান প্রসব করেন। নবজাতকগুলোর ওজন কম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মাসুদুর রহমান জনান, দুই ছেলে ও এক কন্যা শিশুর রেসপন্স পাওয়া যায়নি। বাকি এক শিশুর অবস্থাও ভাল নয়। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তবে ঝুঁকি মুক্ত নয়। মৃত তিনটি শিশু পরিবারে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একটি সুস্থ নবজাতকের স্বাভাবিক ওজন ২.৮ থেকে ২.৯ কেজি হওয়ার কথা। তবে উন্নত বিশ্বে তা ৩.৪ কেজির মতো হয়ে থাকে। নবজাতকের ওজন যেসব কারণে প্রভাবিত হয়। তার মধ্যে রয়েছে- মায়ের ওজন (৪৫ কেজির কম হলে), উচ্চতা (১৪৫ সেন্টিমিটারের কম হলে), রক্তে অ্যালবুমিন (২.৫ গ্রাম/ডেসিলিটারের কম থাকলে) প্রসূতির নবজাতক আড়াই কেজি কম ওজন নিয়ে জন্ম নিতে পারে। সেক্ষেত্রে নবজাতকটি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
এমন শিশুগুলো শরীরের তুলনায় মাথা বড়, মুখমণ্ডল ছোট ও গোলাকার, বুকের খাঁচা গোলাকৃতি ও পেট উঁচু দেখায়। তুলনায় হাত-পা ছোট থাকে এবং নাভি দেহের মধ্যবিন্দু ধরে শরীরের ওপরের অংশ শরীরের নিচের অংশের চেয়ে বড় থাকে।
পূর্ণ গর্ভকাল পাওয়া সুস্থ নবজাতকের দৈর্ঘ্য সাধারণভাবে ৫০ সেন্টিমিটারের মতো হয়।