বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উত্তপ্ত বিতর্কের মধ্যে দিয়ে পাশ হলো বির্তকিত ন্যাশনালিটি ও বর্ডার বিল। মাত্র ৯ মিনিট আলোচনার সুযোগ দিয়ে ৬৭ ভোটের ব্যবধানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাশ হয় এই বিল।
আইনটি পাশ হওয়ার ফলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি ও জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়া ব্যক্তিদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। এই আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি, যুদ্ধাপরাধ বা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়লে ন্যাচারালাইড ব্রিটিশ নাগরিকদেরও নাগরিকত্ব বাতিলেরও বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া বিলটি পাশের মধ্য দিয়ে ডোভার সীমান্ত দিয়ে যারা ব্রিটেনে অবৈধভাবে প্রবেশ করবে তাদেরকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠাতে পারবে ব্রিটেন।
আরও পড়ুন: আবারও হাসপাতালে পেলে
এর ফলে ব্রিটেনে বসবাসকারী দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে এমন বাংলাদেশীরাই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে দাবি অভিবাসন আইনজীবীদের।
অভিবাসন বিষয়ক আইনজীবী মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, যেকোনো নাগরিককে রাষ্ট্রহীন করে নাগরিক হিসেবে তার আপিলের সুযোগ না দেওয়া জাতিসংঘের রিফিউজি কনভেনশন ১৯৫১ এর লঙ্ঘন।
২০১৭ সালের পর থেকে বাংলাদেশী বংশদ্ভূত শামীমা বেগমসহ দেড় শতাধিক ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলো ব্রিটেন। ২০১৯ সালে এসে নাগরিকত্ব বাতিলের হার বেড়েছে প্রায় ৬০০ শতাংশ।
আইনজীবীরা বলছেন এই আইনটি পাশের মাধ্যমে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা প্রায় আড়াই লাখ নাগরিক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
একাত্তর/টিএ