টিকাবিরোধী আন্দোলনকারীদের কার্যক্রমকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
বুধবার দেশটির রাজধানী অটোয়ায় অবস্থিত আইনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় যে করোনা নিয়ন্ত্রণে আরোপিত বিধিনিষেধের জন্য আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তার পক্ষে নিজের অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি। খবর বিবিসির।
এদিকে আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারি দিয়েছে অটোয়া পুলিশ। একইসঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হলে চাকরি খোয়ানোর সতর্কবানীও দিয়েছেন তারা।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানী অটোয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে থাকা দুই সীমান্তে চলমান এই অবরোধে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটি।
আইনসভায় ট্রুডো বলেন, অবরোধ এবং বে-আইনী সমাবেশ অগ্রহণযোগ্য এবং এটি ব্যবসা এবং উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এর শেষ করতে আমাদের সব কিছু করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীরা আমাদের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং নাগরিকদের জীবনকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এটাকে থামাতেই হবে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর এক সপ্তাহ আইসোলেশনে থেকে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আইনসভায় ফেরেন।
আর সোমবার থেকেই কানাডার বাণিজ্যের সিংহভাগ নিয়ন্ত্রণ করা বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সেতুর সীমান্ত ট্রাক দিয়ে আটকে রাখে আন্দোলনকারীরা। প্রায় ১০০ আন্দোলনকারীর এই অবরোধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাণিজ্য সংস্থা। এই সেতু অন্টারিওকে সরাসরি মিশিগানের সঙ্গে সংযুক্ত করে।
আরও পড়ুন: পাঁচ বছরের কম বয়সীদের করোনার টিকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
অঞ্চলটির গাড়ি উৎপাদকরা বলছেন, অবরোধের কারণে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানী করতে না পারায় তাদের উৎপাদন ও কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিতে হয়েছে। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে কোম্পানির ক্ষতির মুখে পড়ার পাশাপাশি ভোক্তাদের গাড়ি কেনার খরচ বেড়ে যেতে পারে।
বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি উৎপাদক টয়োটা এই সপ্তাহে আর কোনো গাড়ি উৎপাদন হবে না ঘোষণা দিয়ে এরইমধ্যে নিজেদের তিনটি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসেডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস থেকে গাড়ি এবং কৃষি খাতের রপ্তানিকে এই আন্দোলন ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে উল্লেখ করে তা থামানোর আহবান জানানো হয়েছে।
গত মাসের শেষের দিকে আসা প্রায় ৪০০ ট্রাক এখনও অটোয়ার কেন্দ্রে অবস্থান করছে। বুধবার দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অটোয়ার অধিবাসীদের সম্পত্তির আইনানুগ ব্যবহার, তুষ্টি এবং কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটিয়ে সম্পত্তি বিনষ্ট করার অভিযোগে আন্দোলনকারীদের আটক করা হতে পারে।
একইসঙ্গে রাস্তা অবরোধ করে রাখা কিংবা অন্যকে অবরোধ করে রাখতে সহায়তা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে বলেও সতর্ক করে অটোয়া পুলিশ।
একাত্তর/টিএ