ইউক্রেইনে চলমান রুশ সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এসব দেশে যদি পুতিন ও ল্যাভরভের কোনো ব্যক্তিগত সম্পদ থাকে তাহলে সেসব জব্দ করা হবে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না এই দুই রুশ নেতা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন আগ্রাসনের দ্বিতীয় দিনে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো পশ্চিমাদেশগুলো।
তবে এসব দেশে পুতিন ও ল্যাভরভের কি পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে তা জানা যায়নি। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ঠিক কি ধরনের প্রভাব পড়বে সেটিও স্পষ্ট নয়।
রাশিয়া বলেছে, পররাষ্ট্রনীতিতে পশ্চিমারা 'অক্ষমতা' দেখিয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন হামলার হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব আনা হলে তাতে ভেটো দেয় রাশিয়া। ভারত, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সকলেই এ ভোটদানে বিরত থাকে। এ প্রস্তাবে অন্য ১১ জন সদস্য ভোট দেয়।
ভোটের পর জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, আমাদের জোরালো দাবির বিরুদ্ধে ভেটো দেওয়ার জন্য রাশিয়া আজ তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। কিন্তু রাশিয়া আমাদের কথায় ভেটো দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: চেরনোবিলে বাড়ছে পারমাণবিক বিকিরণ, শঙ্কায় ইউক্রেন
প্রেসিডেন্ট পুতিন এখানে আগ্রাসী, কোনো মাঝামাঝি জায়গা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ এবারই প্রথম। এর আগে শুধু সিরিয়া ও বেলারুশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেই এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিলো।
একাত্তর/আরবিএস