ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ১৮তম দিন চলছে। রাজধানী কিয়েভ দখলে চারভাগে এগুচ্ছে মস্কোর প্রধান সামরিক বহর। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মারিওপোল শহর।
ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশিদের পাঠানো অস্ত্রের বহরে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এবং জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে ৭৫ মিনিটের ফোনালাপে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সায় দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট।
ইউক্রেনে রুশ অভিযানে সবচেয়ে ভয়াবহতার পরিস্থিতি এখন বন্দরনগরী মারিওপোলে। এই শহরে সংঘাতের পাশাপাশি চলছে লুটপাট। স্যাটেলাইটের ছবিতে সামরিক-বেসামরিক স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে।
শনিবার বিভিন্ন শহর থেকে ১৩ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়। সংঘাতের কারণে মারিউপোল থেকে কাউকে সরানো যায়নি। পানি, বিদ্যুৎ, খাবার সংকটে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়রা। রুশ হামলায় মারিওপোলে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১,৫০০ মানুষ।
রাজধানীর উত্তরপূর্বাঞ্চলে ব্যাপক সংঘাত চলছে। কিয়েভ থেকে ১৬ মাইল দূরে এখন রাশিয়ার প্রধান সামরিক স্থলবহর। চারভাবে বিভক্ত হয়ে এগুচ্ছে কিয়েভের দিকে।
রাজধানীর পার্শ্ববর্তী একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার করা নারী-শিশুদের গাড়িবহরে হামলা করেছে রুশ বাহিনী। নিহত হয়েছে সাতজন। অভিযোগের বিষয়ে মস্কো কিছু জানায়নি।
ভলনোভাখার পার্শ্ববর্তী একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। দু'পক্ষের হামলায় অঞ্চলটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এরপরই নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয় ইউক্রেনের সেনারা।
দখলকৃত জাপোরিঝিয়ার মেলিটোপল শহরে স্থানীয়দের তীব্র বিক্ষোভ, প্রতিরোধের মুখে রুশ বাহিনী। ওই শহরের মেয়রের অপহরণকে যুদ্ধাপরাধ আখ্যা দেন জেলেনস্কি। যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইউক্রেনীয় বাহিনীর এক হাজার ৩০০ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
জরুরি ভিত্তিতে ইউক্রেনকে অতিরিক্ত ২০০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্ষুদ্রাস্ত্র, অ্যান্টি ট্যাংক এবং অ্যান্টি এয়ারক্রাফট অস্ত্র দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্ক করেছেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহকারী যানে হামলা চালানোর বৈধতা রয়েছে রুশ বাহিনীর।
এরইমধ্যে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলর, রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। ৭৫ মিনিটের ফোনালাপে পুতিনকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তিনি আগ্রহ দেখাননি বলে জানান ম্যাক্রোঁ।
একাত্তর/এসজে