ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে স্থলপথে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া সেভাবে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না আকাশপথে। ইউক্রেনের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণ নেওয়া রাশিয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলেও আপাতদৃষ্টিতে মস্কো তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে চলছে রুশ হামলা। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর থেকে তুলনামূলক ভাবে শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ ফায়দা করতে পারেনি রাশিয়া।
ইউক্রেনে হামলা শুরুর প্রথম থেকেই রাশিয়ার প্রধান উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো কিয়েভের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ নেয়া। কিন্তু এক্ষেত্রে মস্কোর ক্রমাগত ব্যর্থতা তাদের সামরিক অভিযানের অগ্রগতিকে স্থবির করে দিয়েছে।
চলমান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সবশেষ গোয়েন্দা তথ্যে দাবি করা হয়, ইউক্রেনের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ নিতে রাশিয়া এখন পর্যন্ত ব্যর্থ। তারা মূলত নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্য দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে শুরু হওয়া উত্তেজনার মধ্যে গত বছরের নভেম্বর মাসে দেশটির সীমান্তে সামরিক সমাবেশ করে রাশিয়া। লক্ষাধিক সেনা, বিশাল ট্যাংকের পাশাপাশি যুদ্ধবিমান ও সামরিক হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়।
কয়েক মাসের সমাবেশের পর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সেই সামরিক অভিযান। কিন্তু ইউক্রেনের ১৩২টি যুদ্ধবিমান ও মাত্র ৫৫টি সামরিক হেলিকপ্টারের বিপরীতে ১ হাজার ৩৯১টি যুদ্ধবিমান ও ৯৪৮টি হেলিকপ্টার নিয়েও ইউক্রেনের আকাশপথ নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি রাশিয়া।
আরও পড়ুন: পোল্যান্ড যাচ্ছেন বাইডেন, বসবেন ন্যাটোর সঙ্গেও
সংখ্যা ও সক্ষমতার দিক থেকে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর তুলনায় নগণ্য হবার পরও ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিমানগুলোই এখনো আকাশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এমনকি তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সক্রিয় রয়েছে। বিষয়টিকে রাশিয়ার বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা।
একাত্তর/এসজে