তীব্র দাবদাহ এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বেহাল চীনের সিচুয়ান এবং চংকিং অঞ্চলের বাসিন্দারা। নিজেদের রক্ষায় মাটির নিচে থাকা-খাওয়াকে বেছে নিচ্ছেন তারা।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে কৃষি পণ্য। দাবদাহ আরও তিনদিন থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা। এতে ক্ষতির পরিধি আরও বাড়বে।
দৃশ্যপটটি এমন, অন্ধকার ট্রেনের কামরা। আলো ছাড়াই যাতায়াত, গন্তব্যের অপেক্ষা। স্বাভাবিক কোনো দৃশ্য নয়। বিদ্যুৎ বাঁচাতে বাতি বন্ধ।
দৃশ্যটি চীনের সিচুয়ান প্রদেশের। সিচুয়ান ও চংকিংয়ের ৭৮ শতাংশ বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ থেকে। নদীর পানি ভয়াবহভাবে কমে যাওয়ায়, ব্যাহত উৎপাদন।
তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০/৪২ ডিগ্রি। তীব্র গরম সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। নিজেদের রক্ষায় অভিনব চীনারা। ৩০ মিটার নিচে খোলা হয়েছে হোটেল।
সুন্দর পরিপাটি, ঠাণ্ডা পরিবেশ। দরকার পড়ে না এসির। পুরানো বোম শেল্টারে এটি তৈরি। তবে নেই মোবাইল সিগনাল।
গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে বাঁচতে গুহা হোটেল, ভূগর্ভস্থ খাবারের দোকান এখন প্রধান অবলম্বন। গত শনিবার বাইরের তাপমাত্রা যেখানে ৪২ ছিলো, গুহায় তা ছিলো ১৬ ডিগ্রি।
সিচুয়ানে সরকারি অফিসে এসি ২৬'র নিচে নামানো বারণ। চংকিংয়েও আছে বিদ্যুৎ ব্যয়ে বিধিনিষেধ। অফিস ঠাণ্ডা রাখতে ব্যবহার হচ্ছে বরফ।
লিফট বন্ধ থাকায় বহুতল ভবনে পণ্য উঠছে রশিতে। মাটির নিচে গুহায়, বিছানা পেতে থাকছেন বাসিন্দারা। গরম-বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সিচুয়ানে একটি খামারের সব মুরগী মারা গেছে।
শুধু সিচুয়ান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, বৃষ্টি কম তাই ইয়াংজি নদীর বাধের পানির স্তর, কোমে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ কোমে গেছে সাংহাইসহ আশপাশের অঞ্চলে।
আরও পড়ুন: গাছে পানি দেওয়া নিষিদ্ধ করছে পর্তুগাল
চলমান দাবদাহ ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে। দীর্ঘ দাবদাহে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে চীনে। তবে বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় সিচুয়ান কিছুটা স্বস্তি।
যদিও ঝড়ের কারণে ৩০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে হয়। সাংহাইসহ আশপাশে আগামী তিন দিন তীব্র এই দাবদাহ থাকতে পারে।
একাত্তর/এসজে