শেষ সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ মঙ্গলবার ৯১ বছর বয়সে মারা গেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্ব নেতারা গর্বাচেভের মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সে পাঠানো এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন মিখাইল গর্বাচেভের মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার সংবাদ সংস্থাকে জানান, গর্বাচেভের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য বার্তা পাঠাবেন পুতিন।
এদিকে এক বিবৃতিতে গর্বাচেভকে "উল্লেখযোগ্য দৃষ্টির একজন মানুষ" এবং "একজন বিরল নেতা" বলে অভিহিত করে হোয়াইট হাউসে প্রাক্তন এ সোভিয়েত প্রেসিডেন্টের সাথে ২০০৯ সালের বৈঠকের কথা স্মরণ করেন বাইডেন।
বাইডেন আরও বলেন, এটা বোঝা সহজ ছিল কেন বিশ্বব্যাপী অনেক লোক তাকে এত সম্মান দিতো। তিনি গর্বাচেভের গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গর্বাচেভ ও পুতিনের মধ্যে তুলনা করে বসেন এবং গর্বাচেভের নানা ভূমিকার প্রশংসা করেন।
জনসন বলেন, ইউক্রেনে পুতিনের আগ্রাসনের এই সময়ে, গর্বাচেভের অক্লান্ত উদ্যোগ আমাদের সবার কাছে একটি উদাহরণ হয়ে আছে।
এছাড়া ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁও গর্বাচেভের প্রশংসা করে তাকে ‘শান্তির মানুষ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ম্যাক্রঁ টুইটারে মিখাইল গর্বাচেভের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, শান্তির মানুষ হিসেবে তিনি রাশিয়ানদের জন্য স্বাধীনতার পথ খুলে দেয়াকে বেছে নিয়েছিলেন। ইউরোপে শান্তির প্রতি তার অঙ্গীকার আমাদের অভিন্ন ইতিহাসকে বদলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ
উল্লেখ্য, গর্বাচেভ ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত পতনের আগ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্ব দেন। তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয় এবং স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হয়। এছাড়া সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ইউরোপের পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয় এবং আধুনিক রাশিয়া রাষ্ট্রের যাত্রা শুরু হয়।
ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো ছাড়াও কানাডা, চীনসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এ সোভিয়ত নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে।
একাত্তর/আরবিএস