ইরানে পুলিশি হেফাজতে তরুণীর মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সম্প্রচার চলাকালীন হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল। শনিবার (৮ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটে।
রোববার (৯ অক্টোবর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় সংবাদ বুলেটিন চলাকালীন স্ক্রিনে একটি মুখোশ পরা মুখ ভেসে ওঠে। এরপরই দেখা যায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির মুখ, আর তার চারদিকে জ্বলছে আগুনের শিখা।
এসময় টেলিভিশন স্ক্রিনে পুলিশ হেফাজতে নিহত মাশা আমিনি ও বিক্ষোভে নিহত আরও তিন নারীর চেহারাও দেখা যায়। হ্যাকার দলটি নিজেদেরকে 'আদালত আলি' বলে পরিচয় দেয়।
ইরানে পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুর পর ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার পর এই ঘটনা ঘটলো।
টেলিভিশনে দেখানো এসব ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল 'আমাদের সাথে যোগ দাও ও জেগে ওঠো' এবং 'তোমাদের থাবা থেকে ঝরছে আমাদের তরুণের রক্ত'। এর কয়েক সেকেন্ড পরই এসব ছবি অদৃশ্য হয়ে যায়।
ইরানে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আয়াতুল্লাহ খোমেনির বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রকাশ্য বিদ্রোহ প্রদর্শন খুবই বিরল ঘটনা। তবে মাশা আমিনির মৃত্যুর পর সে চিত্র বদলাতে শুরু করেছে।
এদিকে, শনিবার প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তেহরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন নারী শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে পেট্রোল স্টেশনে বিস্ফোরণে নিহত ১০
এর আগে সকালে সানান্দাজ শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে ইরানে এখন পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
তবে, মাশা আমিনির মৃত্যু আঘাতের কারণে নয়, বরং শরীরের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে পড়ার ফলে হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
একাত্তর/এসজে