অধিকৃত ক্রিমিয়ার সাথে রাশিয়াকে যে সেতুটি যুক্ত করেছে সেটির উপর হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে একে 'সন্ত্রাসী তৎপরতা' বলে বর্ণনা করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
রোববার (৯ অক্টোবর) পুতিন বলেন, ইউক্রেনের গোয়েন্দা বাহিনী রাশিয়ার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়েছিল।
তিনি তদন্ত কমিটির প্রধান আলেকজান্দার ব্যাস্ত্রিকিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন।
'এখানে কোন সন্দেহ নেই যে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য এটা একটা সন্ত্রাসী কার্যক্রম। এই কর্মকাণ্ডের পিছনে পরিকল্পনাকারী, বাস্তবায়নকারী এবং সুবিধাভোগীরা ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী', বলেন পুতিন।
ব্যাস্ত্রিকিন বলেন, রাশিয়ার নাগরিক এবং কিছু বিদেশি রাষ্ট্র এই হামলার প্রস্তুতির জন্য সাহায্য করেছে।
তার ভাষ্যমতে, তদন্তকারীরা প্রমাণ করতে পেরেছেন যে, বিস্ফোরিত ঐ ট্রাকটি বুলগেরিয়া, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, নর্থ ওসেটিয়া এবং ক্রাসনোদার অঞ্চল পাড়ি দিয়ে আসছিল।
এই বিস্ফোরণের কারণে ওই সেতুর সাথে যুক্ত সড়কপথের কিছু অংশে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই সেতু বিস্ফোরনে তিনজন মারা গেছে। যখন একটা লরিতে বিস্ফোরণ হয় তখন ঐ তিনজন কাছেই একটা গাড়ির মধ্যে ছিল।
ইউক্রেনের বাহিনী এমন কোন ইঙ্গিত দেয়নি যাতে স্পষ্ট হয় যে তারা এই হামলার পেছনে আছে।
কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা পুতিনের অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, 'এখানে একটাই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আছে' এবং 'সারা বিশ্ব জানে তারা কারা'।
তিনি আরো বলেন, 'পুতিন কি ইউক্রেনকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য দায়ী করছে? এতটা বিদ্রুপাত্মক হওয়া রাশিয়াকে সাজে না'।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত বেড়ে ৭৬
১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু ইউরোপের দীর্ঘতম এবং রাশিয়ার বাহিনীর জন্য ইউক্রেনের যুদ্ধ করার রসদ সরবরাহের একটা গুরুত্বপূর্ণ পথ।
রাশিয়া এই পথ দিয়ে সামরিক যন্ত্রপাতি, বিস্ফোরক এবং সৈন্যদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠায়। ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সাথে সংযুক্তির চার বছর পর ২০১৮ সালে সেতুটি খুলে দেয়া রাশিয়া।
একাত্তর/এসজে