ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের ঘটনাকে পুতিন 'সন্ত্রাসী কার্যকলাপ' হিসেবে আখ্যা দেয়ার দুইদিনের মাথায় ইউক্রেনজুড়ে হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যুদ্ধের প্রাথমিক কয়েক সপ্তাহের পর এটিকে ইউক্রেনে সবচেয়ে বিস্তৃত হামলা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি দাবি করেছেন, এখন পর্যন্ত ইউক্রেনজুড়ে ৭৫টিরও বেশি মিসাইল হামলা করা হয়েছে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত এক দূত জানিয়েছেন, সোমবারের হামলায় কিয়েভে এখন পর্যন্ত আট বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৪ জন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আজ সকালে ইউক্রেনজুড়ে যে হামলা হয়েছে তা প্রমাণ করে, রাশিয়া আমাদের ধ্বংস করে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।
এক টেলিগ্রাম পোস্টে জেলেনস্কি কিয়েভ, জাপোরিঝিয়া ও ডিনিপ্রোতে বিস্ফোরণের তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, সেখানে আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটেছে। দেশবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
খারকিভের মেয়র জানিয়েছেন, সেখানকার একটি জ্বালানি উৎপাদন অবকাঠামোতে মিসাইল হামলার ফলে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এছাড়াও তেরনোপিল, লিভিভ, সুমি, ঝিতোমির, খেমেলনিৎস্কি ও কিরোভোরাদ অঞ্চলেও হামলার খবর পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো কিয়েভ
উল্লেখ্য, শনিবার (৮ অক্টোবর) ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার সাথে সংযুক্তকারী একমাত্র সেতুটি বিস্ফোরণে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে একে 'সন্ত্রাসী কার্যকলাপ' বলে আখ্যায়িত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ ঘটনার জন্য ইউক্রেন দায় স্বীকার না করলেও ক্রেমলিনের তরফ থেকে অবিলম্বে পাল্টা পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ রাশিয়ান কর্মকর্তারা।
একাত্তর/এসজে