গুয়াতেমালা ও এল সালভাদরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় জুলিয়া সোমবার নিকারাগুয়ায় আছড়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এল সালভাদর এবং গুয়াতেমালা এ দুই অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার এল সালভাদরের কর্মকর্তাদের বরাতে ডয়েছে ভেলে জানিয়েছে, সেখানে পাঁচ সৈন্যসহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি বাড়ির দেওয়াল ভেঙে দুইজন সেনা মারা গেছেন। সরিয়ে নেয়া হয়েছে এক হাজারেরও বেশি লোককে।
অন্যদিকে গুয়াতেমালায় রোববার এবং সোমবারের মধ্যে আটজন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও সাত জন।
হন্ডুরাসেও অন্ততপক্ষে পাঁচজন মারা গেছে। চার বছরের শিশু ও ২২ বছর বয়সি এক নারী জলের তীব্র স্রোতে ভেসে গেছেন। নয় হাজার ২০০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে নিকারাগুয়ায় অন্তত ১০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে রাত কাটিয়েছেন। সেখানে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু স্থাপনা।
আরও পড়ুন: সড়কে নিরাপত্তায় আসছে ইনটেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম
এর আগে ঘূর্ণিঝড় জুলিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে যাওয়ার আগে নিকারাগুয়ার ক্যারিবিয়ান উপকূলে রোববার আছড়ে পড়ে।
ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) বলছে, সোমবার বিকেলের মধ্যে জুলিয়া প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল এবং ঝড়ের অবশিষ্ট অংশটি মেক্সিকো সীমান্তের কাছে গুয়াতেমালার উপর দিয়ে ১৫ মাইল প্রতি ঘন্টা বেগে উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়েছিল।
একাত্তর/আরবিএস