রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে উত্তর কোরিয়ার সর্বাধুনিক অস্ত্র প্রদর্শন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। প্রদর্শনীতে থাকা অস্ত্রের মধ্যে হোয়াসং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পিয়ংইয়ংয়ের আমন্ত্রণে উত্তর কোরিয়া সফর করছে রাশিয়ান একটি প্রতিনিধিদলের পাশাপাশি চীনা কর্মকর্তারা। তারা কোরিয়ান যুদ্ধের অস্ত্রবিরতির ৭০তম বার্ষিকী উদযাপনে যোগ দেবেন।
এপ্রিল মাসে সফলভাবে পরীক্ষা করা হোয়াসংকে উত্তর কোরিয়ার প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল বলে মনে করা হয় যেটি কঠিন প্রপেলান্ট ব্যবহার করে। এগুলো তরল-জ্বালানির চেয়ে দ্রুত উড্ডয়ন করতে সক্ষম।
এছাড়াও প্রদর্শনীতে দুটি নতুন ডিজাইনের ড্রোন ছিল, যার মধ্যে একটি মার্কিন বিমান বাহিনী দ্বারা ব্যবহৃত প্রাথমিক আক্রমণাত্মক স্ট্রাইক ড্রোনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
পিয়ংইয়ং ইউক্রেনের যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে, এমন অভিযোগের মধ্যে এলো শোইগুর এই সফর। তবে পিয়ংইয়ং এবং মস্কো উভয়ই এই দাবি অস্বীকার করেছে।
উত্তর কোরিয়ার কেসিএনএ বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, কিম এবং শোইগু জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিবেশের ক্ষেত্রে ‘পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয়’ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার বিজয় দিবসের জন্য প্রতিনিধিদলের সফর বৃহস্পতিবার একটি বিস্তৃত সামরিক কুচকাওয়াজের মাধ্যমে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যদিও কোরিয়ানরা এক অর্থে এখনও যুদ্ধে রয়েছে, কেননা সংঘর্ষের অবসান ঘটলেও কোনো শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি।
রাশিয়া ও চীন উভয়ই উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র। তাদের সফরের জন্য কোভিড মহামারীর পর প্রথমবারের মতো কিম বিদেশী অতিথিদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছেন।
শেষবার পিয়ংইয়ং বিদেশী সরকারি প্রতিনিধিদের সামরিক কুচকাওয়াজের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
আরও পড়ুন: ২০ বছরে প্রথমবার নারী বন্দীর ফাঁসি দিতে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর
কিমের সাথে শোইগুর সাথে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপ’ হয়, যিনি তাকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি অটোগ্রাফযুক্ত চিঠি দিয়েছেন।
তিনি পরে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে বিশ্বের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ বলে অভিহিত করেন।
একাত্তর/এসজে