তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৯ জনে সীমিত থাকলেও আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখনও প্রায় শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবারও উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার সকালে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। দেশটির ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, গেলো পঁচিশ বছরের মধ্যে তাইওয়ানে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটি। বিভিন্ন স্থানে ধসে পড়া টানেল, সড়ক এবং বাড়ি-ঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও শতাধিক মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হুয়ালিয়েনের রাস্তার পাশে জিনওয়েন এবং কিংশুই টানেলে আটকে পড়া ৭৭ জনকে উদ্ধারের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযান চলছে।
ভূমিকম্পে তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহরটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ভবন ধসে পড়েছে, রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চল তাইওয়ানের অন্যান্য অংশ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
হুয়ালিয়েনের এক বাসিন্দা বলেন, আমি আফটারশককে ভয় পাচ্ছি এবং আমি জানি না যে কম্পন কতটা খারাপ হবে। আমার বাড়িটি ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে। সেখানে ঢোকার কোনো উপায় নেই। আফটারশকগুলো ভয়ঙ্কর ছিলো। এগুলো থামছেই না। আমি বাড়িতে থাকার সাহস পাচ্ছি না।
এদিকে খনি এলাকায় আটকা পড়া আরও ছয়জনকে বৃহস্পতিবার সকালে হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
রেলওয়ে প্রশাসন জানিয়েছে, এদিন হুয়ালিয়েনের রেলওয়ে লাইনগুলো ফের চালু করা হয়েছে। তবে হুয়ালিয়েন শহরের উত্তরে একটি গ্রামীণ স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি বন্ধ আছে।
তারোকো জাতীয় উদ্যানের একটি রিসোর্টের পথে থাকা প্রায় ৫০ জন হোটেল কর্মী প্রাথমিকভাবে নিখোঁজ থাকলেও তাদের মধ্যে অন্তত ২৪ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাকিরা এখনও নিখোঁজ।
অন্যদিকে তাইওয়ানের পর এবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে জাপান। জাপানের ফুকুশিমা অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তবে ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৬।