কোনোরকম চুক্তি ছাড়াই মিশরের রাজধানী কায়রোতে শেষ হলো গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা। অন্যদিকে বাইডেন প্রশাসনের হুমকি উপেক্ষা করেই গাজার রাফা সীমান্তে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী।
আরও বড় ধরনের হামলা চালাতে সীমান্তে ট্যাংকসহ বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম ও সেনা জড়ো করছে দখলদার বাহিনী।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, প্রয়োজনে একাই যুদ্ধ চালিয়ে যাবে ইসরাইল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারির কোনো তোয়াক্কা না করেই অবরুদ্ধ গাজার সীমান্ত শহর রাফাহ’র পূর্বাঞ্চলে বিরামহীন গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। সীমান্তে বিপুল সংখ্যক ট্যাংকসহ যুদ্ধ সরঞ্জাম ও সেনা জড়ো করছে তারা। আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে মসজিদ... দখলদারদের আগ্রাসন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কিছুই।
রাফাহ’র বাসিন্দারা বলেছেন, শহরের একটি মসজিদের কাছে ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া সাবরা এলাকায় দু’টি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন।
তবে হামাস বলেছে, শহরের পূর্বে ইসরাইলি ট্যাঙ্কগুলোতে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক রকেট এবং মর্টার নিক্ষেপ করেছে তাদের যোদ্ধারা।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আমাদের যদি একা দাঁড়াতে হয়, তাহলে আমরা একাই দাঁড়াবো। প্রয়োজনে আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করবো। কিন্তু আমরা জানি আমাদের আঙুলের নখের চেয়ে অনেক বেশি কিছু আছে।
তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, রাফায় বড় হামলা চালালেই যে হামাসকে পরাজিত করা সম্ভব হবে তা নাও হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মধ্যে রাফা নিয়ে কথোপকথন এখনও চলছে।
এদিকে কায়রোতে কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হবার পর হামাস বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়টি এখন পুরোপুরি ইসরাইলের ওপর নির্ভর করছে। যুদ্ধবিরতির জন্য নিজেদের তরফে যা যা করা প্রয়োজন, তার সবই করা হয়েছে, দাবি হামাসের।
হামাসের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, আমরা প্রস্তাব হাজির করেছি এবং এখান থেকে সরে যাওয়ার পরিকল্পনা আমাদের নেই। তারা যদি চায়, তাহলেই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় ইতোমধ্যেই ৮০ হাজার মানুষ রাফাহ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘ আরও সতর্ক করে বলেছে, গাজায় খাদ্য ও জ্বালানি ফুরিয়ে যাচ্ছে কারণ ভূখণ্ডটি কাছাকাছি ক্রসিং দিয়ে কোনও সাহায্য পাচ্ছে না।