গাজায় যুদ্ধ যত তীব্র হচ্ছে, তার সাথে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হতাহতের ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে যেসব আন্তর্জাতিক কোম্পানি ইসরাইলের সেনাবাহিনী বা সরকারকে সমর্থন করে তাদের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হয়। আরব ও ইসলামী বিশ্বে বয়কটের প্রচারণা নতুন কিছু নয়, কারণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উভয় দিক থেকেই বিষয়টি নিয়ে বহু বছর ধরে অনেক আলোচনা হয়েছে।
কখনো কখনো বয়কটের ডাক দেয়ার কারণ রাজনৈতিক, আবার কখনো কখনো ধর্মীয়। যেমন প্রায় ২০ বছর আগে ইরাকে আমেরিকান আগ্রাসনের সময় আরব দেশগুলোতে আমেরিকান পণ্য বয়কট করা হয়েছিল।
বিভিন্ন বৈশ্বিক কোম্পানি বিশেষ করে যেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ রয়েছে, তাদের পণ্য বয়কটের ডাক দেয়ার মূলে রয়েছে, ‘বয়কট (বর্জন), ডিভেস্টমেন্ট (বিনিয়োগ প্রত্যাহার) এবং স্যাঙ্কশন (নিষেধাজ্ঞা) প্রচারাভিযান’। যা সংক্ষেপে বিডিএস নামে পরিচিত।
এই প্রচারণা সর্বপ্রথম শুরু হয় ২০০৫ সালে। ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রায় ১৭০টি ফিলিস্তিনি নাগরিক সমাজ সংস্থা এটি চালু করে। অহিংস উপায়ে এই চাপ দেয়া হয় যাতে ইসরাইল সমস্ত আরব ভূমির দখল বন্ধ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে।
ইসরাইল যেন গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনি-আরবদের সমান অধিকার প্রদান করে এবং তাদের মৌলিক অধিকারকে সম্মান জানায়। জাতিসঙ্ঘের ১৯৪ নম্বর প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের অধিকারকে সম্মান ও সুরক্ষা দেয়া উচিত যেন তারা তাদের ভিটাবাড়িতে ফিরে যেতে পারে।
ক্যাম্পেইনারদের ওয়েবসাইটে এমনটাই বলা হয়েছে। এবারো গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানে যেসব কোম্পানি ইসরাইলকে সমর্থন দিচ্ছে তাদের পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানিয়ে আসছে বিডিএস। বিডিএস একইসাথে বিশেষ কিছু কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহবান জানাচ্ছে, যেগুলো ইসরাইলের সবচেয়ে সমর্থনকারী বলে মনে করা হয়।