দ্বীপদেশ তাইওয়ানের আশপাশে গেলো ২৪ ঘণ্টায় ২৯টি চীনা সামরিক বিমান, শতাধিক ড্রোন এবং যুদ্ধজাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাইওয়ান ঘিরে বেইজিংয়ের জোরালো সামরিক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, নেভিগেশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে জাপানি যুদ্ধজাহাজ প্রথমবারের মতো উত্তেজনাপূর্ণ তাইওয়ান প্রণালি দিয়ে চলাচল শুরু করেছে। এ খবর জাপানি মিডিয়ায় প্রকাশের পর সর্বশেষ চীনের এ সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পায়।
তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে চীন প্রায় প্রতিদিনই দ্বীপটির চারপাশে যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও নৌযান পাঠায়।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, দ্বিতীয় দিনের মতো তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক তৎপরতা দেখা গেছে। এদিন ২৯টি চীনা সামরিক বিমান, ড্রোন এবং যুদ্ধজাহাজ যৌথ যুদ্ধ প্রস্তুতি টহলে নিযুক্ত রয়েছে।
এর আগের দিন অর্থাৎ বুধবার দ্বীপদেশটির চারপাশে অন্তত ৪৩টি চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত করা হয়েছে।
তাইওয়ানের চারপাশে চালানো সাম্প্রতিক কৌশলগত কার্যকলাপের বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
গেলো কয়েক বছর ধরেই চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। তাইওয়ান পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বে চীনের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। তাইওয়ানকে নিজেদের একটি প্রদেশ বলে মনে করে বেইজিং। তবে ঐতিহাসিকভাবে চীনের অংশ হলেও আলাদা রাষ্ট্র গঠন করতে চায় তাইওয়ান।
২০২১ সালের অক্টোবরে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছিলেন, মূল ভূখণ্ডের সাথে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। এজন্য সামরিক পথে অগ্রসর হওয়ার বিষয়টিও খোলা রেখেছে বেইজিং।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিপক্ষে গিয়ে তাইওয়ানকে সামরিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। ফলে চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা বাড়ছে।