দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্প্রতি সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। কিন্তু এর জের ধরেই মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। তার সামরিক শাসন জারির পদক্ষেপের কারণে বিরোধী দলগুলো এই ভোটের আয়োজন করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে এই অভিশংসন ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন দেশটির পার্লামেন্ট মেম্বাররা।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অভিশংসন পাস করতে হলে দুই-তৃতীয়াংশ পার্লামেন্ট মেম্বারের ভোটের প্রয়োজন হবে। আর এজন্য বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারি দলের আট এমপিকেও এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিতে হবে।
সবশেষ গেলো ৭ ডিসেম্বর অভিশংসনের জন্য প্রথম দফার ভোটাভুটি হয়। সেই সময় ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা তা বয়কট করায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
জাতীয় পরিষদের স্পিকার উ ওন-শিক ওইদিন জানিয়েছিলেন, অভিশংসনের পক্ষে ভোট পড়েছিলো ১৯৫টি। প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না হওয়ায় প্রস্তাবটি পাস হয়নি।
এর আগে গেলো ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। যদিও জনগণের চাপের মুখে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি।
তার এই পদক্ষেপের কারণে দেশটির জনগণ ও নিজ দলের মধ্যেও বিভক্তি তৈরি হয়। মেয়াদের অর্ধেক পথে এসে ঝুঁকির মুখে পড়ে তার প্রেসিডেন্ট পদ।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে ইউন বলেছিলেন, দেশে সামরিক আইন ঘোষণার জন্য আমি খুবই দুঃখিত এবং আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেকটা মরিয়া হয়ে আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এটা জনগণের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছিলো। তাদের অসুবিধায় ফেলেছিলো।