যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরেই মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি তার দ্বিতীয় মেয়াদ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই ট্রাম্প বলেন, তিনি বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করতে যাচ্ছেন। তার মধ্যে রয়েছে, আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্ত অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা।
ওই ঘোষণার পরপর ট্রাম্প দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন।
তিনি বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আদেশ। বৈধ অভিবাসন নিয়ে আমার কোনো কথা নেই। এটি আমি পছন্দ করি। আমাদের লোক দরকার এবং আমি বৈধ অভিবাসনের পক্ষে। কিন্তু অবৈধ অনুপ্রবেশ চলতে পারে না।
ক্ষমতা গ্রহণের আগেও তিনি বলেছিলেন, মেক্সিকো সীমান্ত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কারণ সীমান্ত দিয়ে লাখ লাখ অপরাধী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। তারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে তাদের অবিলম্বে ফেরত পাঠানো হবে।
এদিকে ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী যেকোনো ব্যক্তির মার্কিন নাগরিকত্বের অধিকার বাতিল করা হবে, অর্থাৎ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে।
এদিন ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পরই আশ্রয়প্রার্থীদের অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে চালু করা একটি অ্যাপ অফলাইন হয়ে যায়।
মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই অ্যাপে ৩০ হাজার লোকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত ছিলো।
ট্রাম্পের প্রধান উপদেষ্টা এবং অভিবাসন নীতেতে কট্টরপন্থী প্রখ্যাত স্টিফেন মিলার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেন যে, দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য আগ্রহী সকল অবৈধ অভিবাসীদের এখনই ফিরে যাওয়া উচিত। অনুমোদন ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী যে কেউ বিচার এবং বহিষ্কারের মুখোমুখি হবেন।