সেকশন

রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২
 

ইউক্রেনের নিরাপত্তায় চার দফা কর্মসূচি ও জোট গঠন

আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর আমেরিকা ও ইউরোপের সঙ্গে টানাপোড়ন চলছেই। ট্রাম্প ও তার ভাইস প্রেসিডেন্টের তীব্র রোষের মুখে পরা জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়েছে ইউরোপ। আর এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্য।

এরিমধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান ও দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার চার দফা কর্মসূচি ও নতুন জোটের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং আরও কিছু দেশ একসাথে জোট গঠন করছে এবং ইউক্রেনকে সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে যুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

রোববার (৩ মার্চ) লন্ডনে ১৮টি পশ্চিমা দেশের নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনের অংশ নেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এসময় চার দফা পরিকল্পনার বিষয়ে একমত হন ইউরোপীয় নেতারা।

এই পরিকল্পনার মূল বিষয়বস্তুগুলো হলো ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করা, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোনো শান্তিচুক্তি না করা এবং আলোচনায় ইউক্রেনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

এর বাইরে, সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির পর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ান, যাতে ভবিষ্যতে নতুন করে কোনো আগ্রাসন প্রতিরোধ করা যায় এবং সবশেষ ইউক্রেনে শান্তি চুক্তি কার্যকর রাখতে ও তা নিশ্চিত করতে জোট গঠন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে কোন কোন দেশ প্রস্তাবিত জোটে যোগ দিতে রাজি হয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি। সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোন দুর্বল চুক্তি মেনে নেয়া হবে না।

তিনি বলেন, আমরা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে চাই। এমন কোনো দুর্বল চুক্তি আমরা মেনে নিতে পারি না, যা রাশিয়া সহজেই লঙ্ঘন করতে পারে। শান্তি চুক্তি অবশ্যই শক্ত ভিত্তির ওপর থাকতে হবে।

বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে স্টারমার জানান, শীর্ষ বৈঠকে চার দফা কর্মসূচি নিয়ে মতৈক্য হয়েছে। এই চার দফা কর্মসূচি হলো, ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেয়া হবে এবং রাশিয়ার উপর আর্থিক চাপ বহাল রাখা হবে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা বজায় রেখে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনতে হবে এবং শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। শান্তিচুক্তিতে ইউক্রেনের আত্মরক্ষার ক্ষমতা বৃদ্ধির কথা থাকবে। ভবিষ্যৎ আগ্রাসন বন্ধ করতে এটা জরুরি।

এই চুক্তি যাতে ঠিকভাবে কার্যকর হয় সেটা নিশ্চিত করতে ‘কোয়ালিশন অফ দ্য উইলিং’ গঠন করা হবে এবং তারা পরবর্তীকালে শান্তি বজায় রাখার নিশ্চয়তা দেবে।

স্টারমার বলেছেন, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে দুইশ’ কোটি ডলার দেবে, যাতে তারা পাঁচ হাজার এয়ার ডিফেন্স মিসাইল কিনতে পারে। এছাড়াও রাশিয়ার ফ্রিজ করা সম্পদের লভ্যাংশ থেকে ২২০ কোটি ইউরো ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেয়া হবে। আমাদের অতীতের ভুল থেকে শিখতে হবে। আমরা কোনো দুর্বল চুক্তি চাই না, যা রাশিয়া আবার ভঙ্গ করতে পারে। বরং শক্তিশালী অবস্থানে থেকে চুক্তি করতে চাই।

স্টারমার বলেন, চুক্তির শর্ত রাশিয়া ঠিক করবে তা হবে না। আমরা চাই, অ্যামেরিকাও এই চুক্তি সমর্থন করুক। ট্রাম্পের সঙ্গে আমি এই বিষয়ে একমত যে, স্থায়ী শান্তি প্রয়োজন। ট্রাম্প কি বন্ধু হিসেবে নির্ভরযোগ্য? এই প্রশ্নের জবাবে স্টারমার বলেন, শুক্রবার যা হয়েছে, সে রকম ঘটনা কেউই চায় না। তবে অ্যামেরিকা নির্ভরযোগ্য নয়, এমন কথা আমি মানতে চাই না।

আর রাশিয়াকে মোকাবেলায় ইউক্রেনের দক্ষ সেনাবাহিনী প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। তিনি বলেন, একটি বিষয় পরিষ্কার যে সবাই ইউক্রেনের সমর্থনে রয়েছে। দেশটির ওপর হামলা করা হয়েছে, রাশিয়া সেখানে আগ্রাসন চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে রাশিয়ার দেয়া শর্তে কোনো চুক্তি সম্ভব নয়।

ইউরোপের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক। একই সুরে বক্তব্য দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডান লিয়েনও। সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সতর্ক করে বলেন, এমন কোন চুক্তিতে সম্মত হওয়া যাবে না তা ভঙ্গ করার সুযোগ থাকে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপের দেশগুলিকে প্রতিরক্ষাখাতে জিডিপি-র তিন থেকে সাড়ে তিন শতাংশ অর্থ খরচ করতে হবে। গত তিন বছর ধরে রাশিয়া ১০ শতাংশ অর্থ প্রতিরক্ষায় খরচ করছে। তাই ইউরোপকেও প্রস্তুত থাকতে হবে।

বৈঠকের পর কিয়েভের নেতা জেলেনস্কি রাজা চার্লসের সঙ্গে দেখা করতে যান। তারপর তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, লন্ডনের শীর্ষ বৈঠক থেকে তার মনে হয়েছে, ইউরোপ এক হয়ে ইউক্রেনের পাশে আছে। তিনি বলেছেন, আমরা একযোগে কাজ করব এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে শান্তি ফেরাতে চাইবো।

এআরএস
রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য চুক্তি হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মে মাসের ১৩ তারিখ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ -সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলতি সপ্তাহেই চুক্তি হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, কোন শর্ত মেনে চুক্তি হবে বা হতে পারে তা ট্রাম্প জানাননি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সময়ে নেয়া পদক্ষেপগুলোর প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসে এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ভুল তথ্য প্রচারের সংখ্যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ২১ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
আর্থিক লেনদেন নিয়ে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তারা জানিয়েছে, একটি কুচক্রী মহলের হাত থেকে বোর্ডের তহবিল নিরাপদ রাখতে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে...
বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা চায় চীন। সফররত দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানালেন, নতুন করে বিএনপির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর হচ্ছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। 
লোডিং...
সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর


© ২০২৫ প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত