অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর ব্রিসবেন উপকূলে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আলফ্রেড’। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি ১৮০ মাইল বেগে উপকূলে আছড়ে পড়ে। যার ফলে জনবহুল অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং রেকর্ড পরিমাণ ঢেউ দেখা দিয়েছে।
এই অঞ্চলে সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেখা যায় না। ব্রিসবেন শহর থেকে ২৮৫ কিলোমিটার পূর্বে কোরাল সাগরের উপরে অবস্থান করছে আলফ্রেড। ব্রিসবেনের আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে ধীরগতির কারণে ঝড়টি শুক্রবার দুপুর অথবা শনিবার ভোরে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্রিসবেন শহরে ঝড়ো বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির কারণে দক্ষিণ-পূর্ব কুইন্সল্যান্ড এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তরে বেশ কয়েকটি উপশহরের কয়েক হাজার বাড়ি ঝুঁকিতে রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের সারাহ স্কালি জানিয়েছেন, উপকূলীয় অঞ্চলে ইতিমধ্যেই প্রবল বাতাস বইছে এবং বিশাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। কোরাল সাগরে আলফ্রেডের দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতির ফলে প্রচণ্ড শক্তিশালী ঢেউ সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রিসবেনের দক্ষিণে গোল্ড কোস্টে ১২.৪ মিটার উঁচু ঢেউ রেকর্ড করা হয়েছে, যা ওই পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সমুদ্র উপকূলীয় শহরের অসংখ্য বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের বালির বস্তা জমা করতে এবং খাদ্য মজুত করার সুযোগ থাকলেও ঝড়ের বাইরের বলয়ের প্রভাবের মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছেন স্কালি। কিছু শহরে ইতিমধ্যেই ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেড ব্রিসবেনের মহানগর এলাকার কাছাকাছি কোথাও উপকূল অতিক্রম করবে। এটি ৫০ বছরেরও বেশি সময় পরে এই এলাকায় প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত।