কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হলেন। কানাডার কেন্ট্রাল ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ছিলেন মার্ক।
রোববারই (৯ মার্চ) মার্ক কার্নিকে কানাডার শাসক দল লিবারাল পার্টির নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা শুধুই সময়ের অপেক্ষা। এরপর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা।
লিবারাল পার্টির অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে কার্নি ৮৫ শতাংশ ভোট পেয়ে দলের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সামনে তাকে আমেরিকার চাপিয়ে দেয়া শুল্ক নীতির সঙ্গে লড়াই করতে হবে।
জাস্টিন ট্রুডো এতদিন এই পদ সামলেছেন। গত জানুয়ারি মাসে ট্রুডো নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন। তারপরেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খুব বেশি দিন কাজ চালাতে পারবেন না কার্নি। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই ভোটেও জিততে পারলে আগামী কয়েক বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে পারবেন কার্নি। না হলে তাকে এ পদ ছেড়ে দিতে হবে।
তবে ভোট পূর্ববর্তী সমীক্ষা বলছে, এবারের ভোটে লিবারালদের থেকে কনসারভেটিভরা সামান্য হলেও এগিয়ে। আগামী কয়েকমাস কার্নি কীভাবে সরকার চালান, তার ওপর অবশ্য অনেকটাই নির্ভর করছে ভোটের ভাগ্য।