ইসরাইলের জেরুজালেমে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। সামরিক বাহিনীতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যোগদানের বাধ্যবাধকতা থেকে আল্ট্রা-অর্থোডক্স ইহুদি পুরুষদের অব্যাহতি দেওয়ার বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ হয়েছে।
রোববার কয়েকটি বিক্ষোভকারী সংগঠন গতকাল ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে ইসরাইলে গণবিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী কয়েকটি সংগঠনও আছে।
রোববারের এই বিক্ষোভে নতুন সরকার গঠনের জন্য নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানানো হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নুরিত রবিনসন নামের ৭৪ বছর বয়সী এক ইসরাইলি বলেন, এ সরকার একেবারে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। তারা ইসরাইলিদের অতলগহ্বরে নিয়ে যাবে।
বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলি পতাকা উড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘এখনই নির্বাচনের আয়োজন করুন।’
এদিকে, বিধি অনুযায়ী, বেশিরভাগ ইসরাইলি নাগরিককে নির্দিষ্ট মেয়াদে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে হয়। এই বাধ্যবাধকতা থেকে আল্ট্রা-অর্থোডক্স ইহুদি পুরুষদের অব্যাহতি দেওয়ার বিরুদ্ধে ও বাধ্যবাধকতার ন্যায্য বণ্টন নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয় বিক্ষোভে।
রোববার তেল আবিবেও বিক্ষোভ হয়। গাজায় হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের কয়েকজনের পরিবার তেল আবিবের একটি প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এই বিক্ষোভে অন্যরাও অংশ নেয়। তারা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে নেতানিয়াহু সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল। চলমান এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটি ইসরাইলি সামরিক বাহিনীতে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।
ইসরাইলের এন টুয়েলভ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরাইলে হওয়া সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা এটি। বিক্ষোভে অংশ নিতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন বলে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ ও ওয়াইনেটের প্রতিবেদনে বলা হয়।
জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, কোনো একটি সমাধানে পৌঁছার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। যুদ্ধের এ পর্যায়ে ইসরাইল যখন জয়ের খুব কাছে, তখন নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা দেশকে কয়েক মাসের জন্য পঙ্গু করে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।