আর মাত্র দু’দিন পরেই ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হবে। যেসব আসনে ভোট হবে, সেখানে ভোটের প্রচার এখন তুঙ্গে। ভোটারদের রায় নিজেদের পক্ষে আনতে মরিয়া হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। দল থেকেও চালানো হচ্ছে নানা ধরনের প্রচার-প্রচারণা।
দ্বিতীয় দফায় ভোট চলাকালীন ভোটারদের জন্য ব্যতিক্রমী পুরস্কার ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলা প্রশাসন। ভোটদানে উৎসাহিত করতে ভোটারদের বিনামূল্যে মুখরোচক খাবার খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ইন্দোর জেলা প্রশাসন। তবে, এজন্য ভোটারদের মানতে হবে শর্ত।
ভোটের জন্য খ্যাতি রয়েছে এই আসনে। ইন্দোরের ভোটে ন্যূনতম কোন সংঘর্ষের ইতিহাস নেই। উৎসবমুখর পরিবেশে সব সময় ভোটাররা ভোট দেন। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় ইন্দোর লোকসভা কেন্দ্র থেকে মাত্র ৬৯ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। এটাই মেনে নিতে পারছে না প্রশাসন।
তাই চলতি বছর ভোটদানের হার বাড়াতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ভোটের বিনিময়ে লোভনীয় খাবার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে এজন্য মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে ভোট দিতে পারলেই বিনামূল্যে পছন্দের খাবার পাবেন ভোটাররা।
আঙুলে ভোটের কালি দেখাতে পারলেই খাওয়া যাবে গরম গরম জিলিপি ও পোহা। আর শেষ পাতে থাকছে আইসক্রিম। থাকছে চাওমিন, মাঞ্চুরিয়ানের ব্যবস্থাও। খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকছে ইন্দোরের চাট-চৌপাট্টির স্ট্রিট ফুড স্টল ‘৫৬ দুকান’। এমন দায়িত্ব পেয়ে তারাও বেশ খুশি।
এই স্টলের মালিকানা সমিতির সভাপতি গুঞ্জন শর্মা বলেন, জেলা প্রশাসনের আবেদনের ভিত্তিতে তারাও ভোটারদের উৎসাহ অভিযানে সামিল হয়েছেন। ভোটের দিন সকাল ৯টার মধ্যে আঙুলে ভোটের কালি দেখাতে পারলেই ভোটারদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে জিলিপি ও পোহা।
তিনি আরও বলেন, ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ ভোটার এবং ১৮ বছরের নতুন ভোটারদের জন্য জিলিপি এবং পোহার পাশাপাশি অতিরিক্ত হিসেবে দেয়া হবে আইসক্রিম। ইন্দোরের জেলাশাসক আশিষ সিং বলেন, চলতি বছর ভোটদানের হার বাড়াতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইন্দোরে ভোটার সংখ্যা ২৫ দশমিক ১৩ লাখ।