বিভিন্ন থানায় ও কারাগারে হামলার মতো দু’একটা ঘটনা ঘটবেই, তবে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে কি-না, সেটাই মুখ্য বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আর, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অভিযুক্ত পলাতক আসামিদের বেশিরভাগই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায়, তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম জানিয়েছেন, পলাতকদের বিষয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান।
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এ হামলা হয় মঙ্গলবার রাতে। এতে আহত হয় একাধিক পুলিশ সদস্য। একই সময় কাশিমপুর কারাগারেও ঘটে হামলার ঘটনা।
এক পর্যায়ে জামিন প্রাপ্ত তবে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বন্দি দুই জঙ্গিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় কারা কর্তৃপক্ষ। এর আগে জানুয়ারি মাসেও হামলা হয় বনানী থানায়।
আর, ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর নিউমার্কেট থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে। দু’দিন আগেও ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে।
আর প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও ছিনতাই-দস্যুতা তো নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন দুই একটি ঘটনাকে স্বাভাবিক উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দাবি, সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, থানা ও কারাগারে হামলার মতো দুয়েকটা ঘটনা ঘটবেই। তবে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না সেটিই মুখ্য বিষয়। সরকার প্রতিটি ঘটনার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশানে নৌ পুলিশ সদরদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, সব ঘটনাই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আসামিদের এখনো কেনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এদের বেশিরভাগই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাই তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তাদের অনেককে আমরা ধরেছি। বিদেশে যারা পালিয়ে গেছে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
একই অনুষ্ঠানে আইজিপি জানান, পলাতকদের ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশের অনুরোধ করেছে সরকার। বিষয়টি প্রক্রিয়ায় আছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, পলাতক আসামিদের ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশের অনুরোধ করেছে সরকার। রেড নোটিশ ইস্যু হলে ওই দেশের পুলিশই তাদের গ্রেপ্তার করবে।