গ্যাসের পরিবর্তে বাতাস বিক্রি করে শিল্পকারখানা থেকে বিল নেয় গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো। সঠিক মান নির্নায়ক ইভিসি মিটার না থাকায় এমন সংকট চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
সংকট সমাধানে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছে টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশন।
তবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, যাদের বিল বাকি নেই তারা ইভিসি মিটার কিনে সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
গ্যাসের চাপ যখন একেবারেই নেই, কেবল কিছু বাতাস আসে, তখনও গতানুগতিক এই বাতাসই গ্যাস মিটারে বিল উঠতে থাকে।
এমন সংকট সমাধানের জন্য সাত বছর আগে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সব শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ইভিসি মিটার নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছিল।
কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র দেড় হাজার প্রতিষ্ঠানকে এই মিটার দেয়া হয়েছে। অথচ, শিল্প কারখানার সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি।
দেশে যখন তীব্র গ্যাস সংকট, আমদানি করা গ্যাসের দামও বেড়েই চলছে; সেই সময়ে আবারো দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। চলতি মাসেই শুনানি হবে।
এমন পরিস্থিতিতে গ্যাসের দামে বাতাসের বিল দেয়া প্রসঙ্গে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, খোলা বাজার থেকে ইভিসি মিটার কেনার সুবিধা দেয়া হয়েছে। তবে বকেয়া বিল না থাকলেই সেই সুযোগ পাবে।
তবে ব্যবসায়ীরা জানান, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে দাম বাড়ানো হয়েছিল ২০১৫ সালে। সেই গ্যাস না পেয়েও অস্বাভাবিক বিল গুণতে হয়েছে। এর বিচার চাইতে আদালতে যাবেন বলেও জানান তারা।
আর জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা জানান, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অমান্য শাস্তিযোগ অপরাধ। কিন্তু সিদ্ধান্ত না মানার পরও গ্যাস বিতরন কোম্পানিগুলোর আবেদন গ্রহণ করে দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। এতে কমিশনের প্রতি ভোক্তাদের আস্থা কমছে।
অবৈধ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ নিশ্চিত না করেই দাম বাড়ানোর আবেদন গ্রহণ করারও সমালোচনা করেন তিনি।
একাত্তর/এআর