ঢাকা সিটি করপোরেশনকে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিলে রাজধানীতে কীভাবে যানজট নিরসন করা যাবে তার পরিকল্পনা জানিয়েছেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দায়িত্ব পেলে গাড়ির নিবন্ধন নম্বর জোড় না বিজোড়- এর ভিত্তিতে রাজধানীতে দৈনিক গাড়ি চালাতে হবে। যেসব গাড়ির নিবন্ধন নম্বর জোড় সংখ্যার, সেই গাড়িগুলো মাসের জোড় তারিখের দিন চলবে এবং বিজোড় সংখ্যার নিবন্ধিত গাড়িগুলো বিজোড় তারিখে চলবে।
শনিবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর উত্তরা সাত নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণির পশ্চিম প্রান্তের বটমূলে ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর কোন রাস্তায় কী পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে, কোথায় বেশি যানজট হয়- এসব বিষয়ে গবেষণা করা হবে।
তিনি বলেন, উত্তরা এলাকার শিশু-কিশোরদের সুস্থ, সুন্দর বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করতে এই মুক্তমঞ্চটি নির্মাণ করেছে ডিএনসিসি। সেখানে শিশু-কিশোররা আড্ডা, গল্প, গান বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দুষণ ও যানজট নিরসনে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয় এই জোড়-বিজোড় নম্বরের ভিত্তিতে গাড়ি চালানো। চীন, সিঙ্গাপুরে এই নিয়ম আগে থেকে চালু থাকলেও ভারতে আম আদমি পার্টির তৎকালীন ও বর্তমান দিল্লি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এটি শুরু করেন। পরীক্ষামূলকভাবে ১৫ দিন এভাবে গাড়ি চালানোর পর তিনি জোর গলায় এটাকে সার্থক বলে দাবি করেছিলেন।
শুধু কেজরিওয়ালই নন, একই দাবি করেছিলেন দিল্লির পরিবেশ বিজ্ঞানীরাও। তাদের মতে সফল ওই পদ্ধতিতে প্রশংসার ভেসেছিলেন আম আদমি পার্টির এই নেতা।
আরও পড়ুন: ভারতকে হারিয়ে আরেকটি স্বর্ণ বাংলাদেশের
তবে, ‘বোঝার ওপর শাঁকের আঁটি’র মতো জোড়-বিজোড় নিয়ম নিয়ে আইনি বিবাদও দেখা দিয়েছিল। আর সেটা গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত৷
একাত্তর/এসি