সন্তান হারানোর ক্ষতি কোনোভাবেই পূরণ হয় না। তাই ক্ষতিপূরণও চান না শাহজাহানপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারানো কলেজ শিক্ষার্থী প্রীতির বাবা।
তবে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি তার পরিবারের পাশে থাকেন তাহলে তিনি খুশি হবেন। রোববার প্রীতির বাসায় বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষকরা সান্ত্বনা দিতে গেলে প্রীতির বাবা এসব কথা বলেন।
মেয়েকে হারিয়ে মায়ের অবলম্বন শুধুই তাঁর স্মৃতিগুলো। বাসায় কেউ সান্ত্বনা দিতে এলে মেয়ের শিক্ষাসনদ আর ছবি দেখান মা। যারা সান্ত্বনা দিতে আসেন, তারাও জানেন না কি বলবেন।
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে রোববার সকালে সামিয়া আফনান প্রীতির বাসায় যান সরকারি বেগম বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিকুন নাহারের নেতৃত্বে সাত সদস্যের দলটি দীর্ঘ সময় প্রীতির বাবা-মায়ের সাথে কথা বলেন।
প্রীতি হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অধ্যক্ষ নাহার বলেন, এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়৷ এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ সময় প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, সন্তান হারানোর ক্ষতি কেউ তাকে কোন দিন পূরণ করে দিতে পারবে না। তবে তারা আশা করেন প্রধানমন্ত্রী পরিবারের পাশে থাকবেন।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের বিচার চান কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে জামাল উদ্দিন বলেছেন, মামলা বা বিচার চাওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। তাই প্রীতি খুনের বিচার তিন চাইবেন না।
প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন সামান্য বেতনে মিরপুরের একটি কারখানায় চাকরি করেন। আর মা বাসায় সেলাই এর কাজ করতেন।
বাবা মায়ের কষ্ট কমাতে প্রীতি এপ্রিল থেকে দোকানে বিক্রয়কর্মীর কাজ নিয়েছিলেন। একমাত্র ভাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বাবা মা আতংকে ছেলেটিকে রাস্তায় বের হতে দিচ্ছেন না।
আরও পড়ুন: নিউজার্সিতে এস কে সিনহার তিনতলা বাড়ি, মামলার প্রস্তুতি
উল্লেখ্য, ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুর রেলগেটের পাশে যানজটে আটকে থাকা প্রাইভেটকারে আওয়ামী লীগ নেতা টিপুকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে এক দুর্বৃত্ত।
এ সময় রিকশায় থাকায় বদরুন্নেসা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতির গায়েও গুলি লাগে। পরে দুজনকে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।