রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ছুরিকাঘাতে দন্ত চিকিৎসক ডা. আহমেদ মাহী বুলবুল (৩৮) হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে দন্ত চিকিৎসক হত্যায় ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে মিরপুর গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল।
মিরপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার সাংবাদিকদের বলেন, আজ (বুধবার) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে শেওড়াপাড়ায় মেট্রোরেলের ২৭৮ নম্বর পিলারের কাছে ছুরিকাহত হন বুলবুল। তাকে প্রথমে ওই এলাকার আল হেলাল হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা না পাওয়ায় নেওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বুলবুল দন্ত চিকিৎসক হিসেবে মগবাজারে নিয়মিত রোগী দেখতেন। পাশাপাশি গত পাঁচ বছর ধরে ‘মেসার্স রংপুর ট্রেডার্স’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও চালাতেন৷ তিনি ‘পথশিশু সেবা সংগঠন’সহ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেও যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে পৌঁছেছে আরও ১৯৯৭ রোহিঙ্গা
রোববারই বুলবুলের স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদি অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার দিন ভোরে নোয়াখালী যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে বুলবুল ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন বলে প্রাথমিক ধারণা কথা বলেছিল পুলিশ। তবে বুলবুলের সঙ্গে থাকা ১২ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন খোয়া না যাওয়ায় পুলিশের ওই ধারণা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন তার পরিবার।
একাত্তর/এসি