ওয়াসার লাইনে গন্ধযুক্ত ও খাবার অযোগ্য পানি পাবার অভিযোগ করেছেন ঢাকার মাতুয়াইলের বাসিন্দারা। তারা ক্ষোভের সঙ্গে দাবি করেছেন, ধোয়ামোছার কাজে ব্যবহার করা গেলেও এই পানি ফুটিয়েও পান করা যায় না। বিশুদ্ধ পানির এই সংকট অনেক দিনের।
আইসিসিডিডিআরবি হাসপাতালের দেয়া তথ্য বলছে, রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকা থেকে আসা ডায়রিয়া রোগী অনেক বেশি। তবে হাসপাতাল থেকে রোগীদের তথ্য নিয়ে পানি পরীক্ষার পর, ডায়রিয়ার জীবাণু মেলেনি বলে দাবি করছে ওয়াসা।
মাতুয়াইলের বাসিন্দা জমির গাজী গেলো মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মহাখালীর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তিনি জানান, ওয়াসার পানিই তার পেটের পীড়ার প্রধান কারণ।
তিনি দাবি করেন, গোসল ও ধোয়ামোছার কাজে ওয়াসার পানি ব্যবহার করা গেলেও ওয়াসার পানি খাওয়া যায় না। ফুটানোর পরও পানিতে গন্ধ থেকে যায়। আর পানিতে ময়লাতো আছেই। যা নিয়ে জমির গাজীর ক্ষোভের অন্ত নেই।
তিনি যে কলের পানি পান করেন, সেই কল থেকে আনা পানি ফুটিয়ে দেখা গেছে কিছুক্ষণ পরই পানিতে ফেনা ভাসতে থাকে। নিচে জমা হয় ময়লা। পানি ফুটানোর পর পাতিলও কালো হয়ে যাচ্ছে। এই পানিকে ডায়রিয়ার কারণ বলেই মনে করছে এলাকাবাসী।
এই অবস্থায় পাশের একটি মাদ্রাসা থেকে গভীর নলকূপের পানিতে রান্না খাওয়ার কাজ সারেন এলাকাবাসী। অথচ আইসিডিডিআরবি থেকে দেয়া রোগীদের ঠিকানা মতো মাতুয়াইলের জমির গাজির বাসার পানিও পরীক্ষা করেছে ওয়াসা।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট না দেয়ার ব্যাখা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
নিজেদের করা এই পরীক্ষায় পানিতে ডায়রিয়া বা কলেরার কোন জীবাণু মেলেনি বলে দাবি করেছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।
তার দাবি, নিয়ম মেনে প্রতিদিনই নিজস্ব পরীক্ষাগারে পানির মান পরীক্ষা করে ওয়াসা। সেই পরীক্ষাতেও পানিবাহিত কোন জীবাণুর অস্তিত্ব মেলেনি।
একাত্তর/এসজে