যে কয়েকজন ব্যবসায়ীর কারণে ডিমের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে, তাদেরই একজন সাভারের ফয়সাল সরকার। একাত্তর টেলিভিশনে শুক্রবার সংবাদ প্রচারের ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে তার সেই কারসাজি ধরা পরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানেও।
ফয়সাল সরকারের প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ডিম কারসাজির অপরাধে সাভারের আরও দুই প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দীর্ঘ দিন ধরেই পাইকারি ডিম ব্যবসা করছে সাভারের আশুলিয়ার ফয়সাল এন্টারপ্রাইজ। সফল ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ কয়েকবার কাজী ফার্মের পুরস্কারও পেয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফয়সাল সরকার বাপ্পি। ডিমের বাজারে প্রতিষ্ঠানটির কারসাজি নিয়ে শুক্রবার একাত্তর টেলিভিশনে প্রচার হয় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
শনিবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানেও মেলে কারসাজির প্রমাণ। প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার স্বীকার করেন, বাড়তি মুনাফা আর বছর শেষে কাজী ফার্ম থেকে কমিশন পাবার আশায় তারা ডিমের দাম বাড়িয়েছিলেন।
কারসাজি করে ডিমের দাম বাড়ানো, ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকাসহ বেশ কিছু অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকারে ভ্রমমাণ আদালত। সাময়িকভাবে বন্ধ করা দেয়া হয় ফয়সাল এন্টারপ্রাইজকে।
সাভারের আরেকটি প্রতিষ্ঠান বাগাবাড়ির আসিফ এন্টারপ্রাইজ। গত সপ্তায় ডিম প্রতি আড়াই টাকা লাভ করার পর আরও মুনাফার আশায় বিপুল ডিম মজুদ করেছিলো এই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখন ডিমের দাম কমায় তিন দিনে তাদের লোকসান সোয়া এক লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: এসি থেকে নির্গত গ্যাসে স্বামী-স্ত্রী নিহত, অসুস্থ তিনজন
গত সপ্তায় কারসাজিতে জড়িত থাকার কারণে তাকেও গুণতে হলো এক লাখ টাকা জরিমানা। পাশেই আরেক প্রতিষ্ঠান এস জে এন্টারপ্রাইজেরও কারসাজির প্রমাণ পায় ভোক্তা অধিকার। জরিমানা গুনতে হয় তাকেও।
একাত্তর/এসি