অক্টোবর মাসের জন্য আজ থেকে আবারও শুরু হলো ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে
ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি। রাজধানীর ৩৩টি ডিলার পয়েন্টে বিক্রি হবে এই
পণ্য।
যেখানে কার্ডধারীরা ১১০ টাকা লিটারে কিনতে পারবেন সয়াবিন তেল। ৬৫ টাকা কেজিতে মসুর ডাল ও ৫৫ টাকা কেজিতে চিনি।
উচ্চমূল্যের বাজারে নিম্ন আয়ের ভোক্তাদের স্বস্তি দিতেই প্রতিমাসে টিসিবি'র মাধ্যমে সুলভ মূল্যে ডাল, তেল, চিনির মতো নিত্যপণ্য বিক্রি করে আসছে সরকার।
সোমবার সকালে রাজধানীসহ সারাদেশে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির এই পণ্য বিক্রির কার্যক্রম আবারও শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকার দুই সিটিতে ৩৪ পরিবেশক ও দেশব্যাপী প্রায় ৩ হাজার ৫০০ পরিবেশকের মাধ্যমে বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৮ জন ডিলার ও দক্ষিণ সিটিতে ১৬ জন নির্ধারিত ডিলারের দোকান থেকে ভর্তুকি মূল্যে (তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ) বিতরণ করা হবে।
একজন ফ্যামিলি কার্ডধারী ৫৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
ক্রেতারা বলছেন, সরকারের এ উদ্যোগ অনেক ভালো। কিন্তু পরিমাণ আরেকটু বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো। এছাড়া মাসে অন্তত দুইবার দিলে ভালো হতো।
বিশ্বজুড়েই ভোগ্য পণ্যের এখন চড়া দাম। তারপরও সরকারি এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জেষ্ঠ সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, প্রকৃত দাবিদারদের কাছেই ভর্তুকি মূল্যের এ পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে যদি কোনো অভিযোগ আসে, তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি যাচাইয়ের ব্যবস্থা নিয়েছি। কতটুকু ত্রুটি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পরে তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এছাড়া যদি মিডিয়াসহ কোনো উৎস থেকে কোনো অভিযোগ মিলে তাহলে আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: ব্যাটিং ধস, বড় পরাজয়ে শুরু টাইগারদের
লালমাটিয়াতে কর্মসূচির উদ্বোধনীতে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ফ্যামিলি কার্ড তৈরি ও বিতরণে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় সারা দেশে এক কোটি পরিবারের কাছে মাসে একবার করে পণ্য বিক্রি করছে সরকারের বিপণন সংস্থা- টিসিবি।
একাত্তর/আরবিএস