বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাজীপুর মহানগরী ও রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকায় ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা শরীফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাতে টঙ্গী ও আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. শরীফ হোসেন (২২), আব্দুল্লাহ বাবু (২৩), মো. শ্যামল হোসেন ওরফে রাব্বি (২৩), নাছির রাজ (৩০) ও সাজেদুল আলম ওরফে শাওন (২১)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ৪৯টি মোবাইল, দুইটি সিপিউ, দুইটি মনিটর, দুইটি মাউস, দুইটি কি-বোর্ড, দুইটি ক্যাবল, একটি সিসি ক্যামেরা, একটি ডিভিআর, একটি চার্জার, একটি হাত ঘড়ি, দুইটি ভিসা কার্ড এবং নগদ ৩ হাজার ৭৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, চক্রটি উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর ও টঙ্গীর রাস্তায় যানজটে পড়া যানবাহন থেকে মানুষের মোবাইল ছিনিয়ে নিতো। পরে বিশেষ একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে মোবাইলের আইএমইআই পাল্টে সেগুলো তারা অর্ধেক দামে বিক্রি করে দিতো।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) উত্তরায় র্যাব-১ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং শুরুর ঠিক আগে জব্দ করা মোবাইলগুলোর একটিতে ক্রমাগত কল আসছিলো। হয়তো নিজের ছিনতাই হওয়া ফোন নম্বরটি খোলা পেয়ে কোনো মালিক কল করছিলেন। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে কলটি ধরে মালিকের সাথে কোন যোগাযোগের চেষ্টা করেনি র্যাব।
র্যাব- ১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, উদ্ধার করা মোবাইলের আইএমইআই নম্বরের কোন উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার নেই কোন বাহিনীর কাছে। তাই চুরি যাওয়া ফোনটি সনাক্তের কোন উপায় থাকেনা মালিকদের।
ডাটাবেস না থাকার এই সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে র্যাব জানায়, উদ্ধার করা ফোনের মালিকদের তারা খোজার চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পুলিশি অভিযান, ৬১ জন গ্রেপ্তার
র্যাব-১ অধিনায়ক আরও জানান, ছিনতাই করা ফোনগুলো তারা বিভিন্ন দোকান, অনলাইনে অর্ধেক দামে বিক্রি করতো। টঙ্গি বাজারে মোবাইল সারানোর দোকানগুলোতে চোরাই মোবাইলের আইএমইআই পাল্টানো হতো। আর আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পথচারীদের টাকা গয়না মোটরসাইকেল এমনকি প্রাইভেট কারও চুরি ছিনতাই করতো চক্রটি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে র্যাব।