আত্মগোপনে থাকা একাধিক মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের বাসায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আইনের কোন ব্যত্যয় হয়নি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বাসায় গত মধ্যরাতে দরজা ভেঙে কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান এই কর্মকর্তা।
বুধবার বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পুলিশ তার পরিচয় দিয়েছিল। আমরা তো আইনের বাইরে কিছু করিনি। বিন ইয়ামিন মোল্লা একটি মামলার আসামি। এছাড়াও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে। তার বিভিন্ন ভিডিও রয়েছে আপনারা দেখতে পারবেন।
তিনি বলেন, ভিপি নুর, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, একজন রাজনীতিবিদ। তারই তো উচিত ছিল বাসায় যদি কোনো মামলার আসামি থাকে তবে তাকে বের করে দেওয়া। সেটা না করে তিনি উল্টো পুলিশের উপর চড়াও হলেন, পুলিশকে গালাগাল করলেন। সরকারি কাজে বাধা দিলেন।
আইনের ধারা উল্লেখ করে হারুন অর রশীদ বলেন, নুর যখন জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা কারা? তখন পুলিশ তার পরিচয় দিয়েছে। বলেছে, আমরা থানা থেকে এসেছি, আমরা ডিবি পুলিশ। পুলিশ অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেছে। আমাদের পুলিশ তাকে বারবার বলেছে, আসামি দিয়ে দেন। আইনে বলা আছে যে, আসামি যার বাসায় থাকুক আমরা তাকে ধরে আনতে পারি। প্রয়োজনে প্রয়োগ করে আসামি আনতে পারি। আমরা আইনের ব্যত্যয় কিছু করিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে নুরের ওপর হামলা
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাত দুইটার দিকে নুরের বাসার দরজা ভেঙে কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় ফেসবুক লাইভে এসে নুর অভিযোগ করে বলেন, যারা অভিযানে এসেছিলেন তাদের মধ্যে একজন মদ্যপ অবস্থায় অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে। আমার দুই মাস ও সাড়ে তিন বছরের ছোটো দুটো বাচ্চা পুলিশের এ তাণ্ডবে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
একাত্তর/আরএ