আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে দ্বিমত না থাকলেও চলমান নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আন্দোলন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে রাজধানীর পুরান পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ সংশয় প্রকাশ করেন নেতারা।
দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে থাকা অবস্থায় কোনো উদ্যোগ না নিয়ে হঠাৎ রাজপথ গরমের এ কৌশল কোনো সদিচ্ছার প্রতিফল না।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার পর কীভাবে দলটি গণজমায়েত করলো সে প্রশ্নও তোলেন নুরু।
বলেন, আমরা যমুনা কেন ঘেরাও করবো, এটা একটা স্পর্শকাতর জায়গা। ওই জায়গা ঘেরাও করা একটা দায়িত্বশীল দলের কাজ নয়।
তিনি বলেন, ১৫-২০ দিনের আন্দোলনে নেতা হয়ে বাণিজ্যে মেতেছে এনসিপির নেতারা। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চাইলে উপদেষ্টা পরিষদে থাকতেই নাহিদ উদ্যোগী হতো। তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও আহবান জানান তিনি।
অপরদিকে আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে নিষিদ্ধ চাইলেও আন্দোলন সংগ্রামে এনসিপিকে কেন বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, যমুনার সামনে যখন অন্য বিক্ষোভকারীরা যায় তখন তাদের পুলিশের লাঠিচার্জ করা হয়। তবে গত শুক্রবার আমরা দেখলাম এনসিপি যখন গেল তখন তাদের ঠান্ডা পানি ছিটানো হলো। পরবর্তীতে তাদের শাহবাগের অবস্থান করার সুযোগ দেওয়া হলো, যেখানে সভা করা নিষিদ্ধ। সরকারের এই দ্বিচারিতা নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে।
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরও এনসিপি কীভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করলো এই প্রশ্নও তারও।
সরকার চাপে পড়ে এনসিপিকে দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে কিনা বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা।
তবে আওয়ালী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী চলা আন্দোলনও অব্যাহত রাখার আহবান জানানো হয়।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল শেষে পাঁচ সদস্যের একটি টিম প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে গিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেয়।