ওমান দূতাবাসের খামখেয়ালিতে মাথায় হাত বাংলাদেশি গলফার সিদ্দিকুর রহমানের। ভিসা নিয়ে নয়-ছয়! ওমানে খেলতে যেতে না পারলে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়বেন দেশসেরা এ গলফার। হাতে সময় আছে মাত্র দুইদিন। যারপরনাই হতাশ সিদ্দিক।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে সক্রিয় বাংলাদেশের শ্রম বাজার। গেলো দুই বছরে তিন লাখেরও বেশি মানুষ কাজের সন্ধানে ওমানে পগারপার। যার বড় একটা অংশ অবৈধ হওয়ায় গেলো বছর ১ নভেম্বর বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয় দেশটি।
নগর পুড়লে দেবালয় রক্ষা পায় না। অপরাধীর সঙ্গে পুড়ে সাধারণ ভালো মানুষ। সেটাই যেন হলেন দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান। দুই বারের এশিয়ান ট্যুর চ্যাম্পিয়ন ওমানে টুর্নামেন্ট খেলতে যাবার আমন্ত্রণ পেয়েছেন। ৪০০০ ডলার খরচ করে বিমানের টিকিটও কেটেছেন। কিন্তু এখন দূতাবাস তার ভিসা দিচ্ছে না। মাথায় হাত দেশসেরা গলফারের। খেলা শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি। সময় নেই মোটেও। সোমবার ফ্লাই করার কথা থাকলেও পড়েছেন অনিশ্চয়তায়! সেই সঙ্গে টানতে হচ্ছে আর্থিক ক্ষতি।
এই মুহূর্তে মালয়েশিয়া ট্যুর খেলতে মালয়েশিয়ায় আছেন সিদ্দিকুর। একাধিক বার ওমান দূতাবাসে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও বিষয়টি কেয়ারই করছে না কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের একজন অ্যাথলিটের সঙ্গে এমন আচরণ বাড়াচ্ছে সন্দেহ!
ক্রিকেটের বাইরে বাংলাদেশের খুব কম খেলোয়াড়রাই আছেন যারা বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গণে দাপিয়ে বেড়ান। গলফার সিদ্দিক তাদের মধ্যে একজন। লাল সবুজের নাম বিশ্বমঞ্চে উঁচিয়ে ধরা একজনের আকুতি কি শুনবে আমাদের দেশের ক্রীড়া কর্তারা?