শামীম হোসেন পাটোয়ারীর মারকুটে ইনিংসের পরও হার এড়াতে পারেনি চিটাগং কিংস। তার ৭৮ রানের ঝলমলে একটা ইনিংসের পরও খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৩৭ রানে হেরেছে চিটাগং।
আগে ব্যাট করতে নেমে বোসিস্তো ও অঙ্কনের ঝোড়ো ব্যাটে ৪ উইকেটে ২০৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে খুলনা টাইগার্স। যা তাড়ায় নেমে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের বেশি করতে পারেনি চিটাগং।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় চিটাগং কিংস ও খুলনা টাইগার্স।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খুলনার সূচনা করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ১৭ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৬ রান করে আলিস আল ইসলামের শিকার হন এই ওপেনার।
এরপর অধিনায়ক মিরাজের সঙ্গে সঙ্গে জুটি বাঁধেন প্রায় চার বছর পর স্বীকৃত ক্রিকেট খেলতে নামা বোসিস্টো। ৩৭ বলে স্কোরবোর্ডে ৫১ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার।
মিরাজকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন খালেদ আহমেদ। এরপর দ্রুত ইব্রাহিম জাদরান ও আফিফ হোসেনকে হারায় দলটি। পরে বোসিস্টের সঙ্গে ঝড় তোলেন মাহিদুল। ৩৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটি।
এতে চলতি মৌসুমে প্রথম দুইশ পার করা পুঁজি পায় দলটি। ১৮ বলে ফিফটি করা মাহিদুল চার মেরেছেন কেবল একটি, ছক্কা ছয়টি। ২২ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
এটি বিপিএলে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ফিফটি। এর আগে ২০২৩ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১৯ বলে ফিফটি করেছিলেন রনি তালুকদার।
২০৩ রানের জবাব দিতে নেমে চিটাগং পিছিয়ে পরেছে শুরুতেই। প্রথম ওভারে ওপেনার নাইম হাসানকে হারায় চিটাগং। সেই থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বন্দর নগরীর দলটি।
ইমন (১৩), মিঠুন (৬), উসমানে খান (১৮), হায়দাররা (০) কেউই সুবিধা করতে পারেননি। শামীম ক্রিজে নামেন ছয়ে। ইনিংসের শুরু থেকেই ঝড় তুলেছিলেন জাতীয় দলের স্পিনিং অলরাউন্ডার।
স্পিনার আলিস আল ইসলাম ১৮ বলে ৬ রান করে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। অপরপ্রান্তে শামীম রীতিমতো ঝড় তোলেন। মাত্র ২২ বলে ফিফটি পূর্ণ করা শামীম আউট হয়েছেন ১৯তম ওভারে।
ফেরার আগে ৩৮ বলে ৭টি চার ৫টি ছক্কায় ৭৮ রান করেন তরুণ অলরাউন্ডার। অন্যদের ব্যর্থতায় ১৮.৫ ওভারে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় চিটাগং। খুলনার হয়ে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নেন আবু হায়দার রনি।